জাতীয়

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ চান রাব্বানী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার পক্ষে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এ বয়স বাড়ানোকে তিনি যৌক্তিক মনে করেন উল্লেখ করে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসের সঙ্গে তিনি একটি ফটোইমেজ শেয়ার করেছেন, যাতে ২১ দেশের নাম উল্লেখ আছে। ২১ দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত, তাও ওই ফটোইমেজে দেয়া আছে।

Advertisement

রাব্বানী তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীত করার দাবিটি আমার কাছে অত্যন্ত যৌক্তিক মনে হয়, আমি নৈতিকভাবে এ দাবিকে সমর্থন করি। প্রত্যাশা রাখি, লাখো বেকার ভাইবোনদের প্রাণের চাওয়াটি সরকার অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখবে।’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার এ দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে এ দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন হয়ে আসছে। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রীরা কথা বলেছেন। তবে প্রথমে সবাই এর বিরোধীতা করেছেন। তবে এখন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা চাকরির বয়স বাড়াবেন।

গোলাম রাব্বানীর ওই স্ট্যাটাসের নিচে ইমতিয়াজ হোসেন নামে একজন লিখেছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ৩৫ এর সুস্পষ্ট যৌক্তিকতায় পাঁচবার জোর সুপারিশ করেছে, ৩৫ দাবিটি বাস্তবায়নের। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারসহ বহুবার এর প্রস্তাব উঠেছে, আর কোনো বিষয়ে সংসদে এতবার প্রস্তাব উঠেনি। সাত বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে আন্দোলন করছি। অথচ বিশ্বের কোথাও আমাদের মতো চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নেই। সর্বনিম্ন ৩৫ থেকে শুরু করে অবসরের আগেরদিন পর্যন্ত অর্থাৎ ৫৯ বছর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে। যে ছাত্র সমাজ ৪৮ থেকে শুরু করে ৫২, ৫৬, ৬৮, ৬৯, ৭০ এবং সর্বোপরি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অনস্বীকার্য অবদান রাখল, আত্মত্যাগ করল। যুগে যুগে তারাই কেন আজ এ স্বাধীন বাংলায় ন্যায্য, যৌক্তিক ও সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত থাকবে? কবে আর সরকারের বোধোদয় হবে?

Advertisement

সুসমিতা বরাই নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী লিখেছেন, ‘জ্বি ভাই। আমরা যারা ছাত্রলীগ করি, তাদের ছাত্রলীগ করা অবস্থায় সরকারি চাকরিরর বয়স চলে যায়। যাতে করে অনেকে সরকারি চাকরি পায় না। তাই সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করা হোক।

জেডএ/পিআর