ওজু পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমই নয়, ফরজ ইবাদতের জন্য শর্ত। এই ওজুকে আল্লাহ তা’আলা ফরজ করেছেন। ইবাদত-বন্দেগিতে ওজুর রয়েছে অধ্যাধিক গুরুত্ব। সুন্দরভাবে ওজু করা, ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও ইবাদত। কিভাবে সুন্নাতি কায়দায় ওজু করা যায় সে ব্যাপারে অনেক হাদিস ও ওলামায়ে কেরামগণ দিয়েছেন সুন্দর সুন্দর পন্থা। ওজুর ফরজগুলো ইতোপূর্বে তুলে ধরা হয়েছে। ওজুর সুন্নাতি তারতিব ও সুন্নাতসমূহ তুলে ধরা হলো-
Advertisement
ওজুর তারতিবসমূহ-ক. ওজুতে নিয়্যাতে একটু উঁচু জায়গায় বসা যাতে ওজুর পানির ছিটা নিজের শরীরে না আসে।খ. বিসমিল্লাহ তথা (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম) বলে ওজু শুরু করা।গ. উভয় হাতে কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করা।ঘ. মিসওয়াক করা। যদি মিসওয়াক না থাকে তবে মোটা কাপড় বা হাতের আঙ্গুল বা অন্য কিছুর দ্বারা উত্তমরূপে দাঁত পরিষ্কার করা।ঙ. তিনবার কুলি করা। রোযা না থাকলে গড়গড়া করে কুলি করা।চ. তিনবার নাকে পানি দেয়া। বাম হাতে কণিষ্ঠা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা নাক পরিষ্কার করা। (রোজাদার না হলে নাকের নরম অংশে পানি পৌঁছানো)ছ. সমস্ত মুখ অর্থাৎ চুলের গোড়া হতে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি হতে অন্য কানের লতি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করা।জ. দাড়ি ঘন হলে খিলাল করা।ঝ. উভয় হাতের কনুইসহ তিন বার ধৌত করা। প্রথমে ডান তারপর বাম হাত। এসম উভয় হাতের আঙ্গুল খিলাল করা। ঞ. সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসেহ করা।ট. কান মাসেহ করা। অর্থাৎ শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে কানের ভিতর এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে কানের বাহির অংশ মাসেহ করাঠ. ঘাড় বা গর্দান হাতের আঙ্গুলের পিঠ দিয়ে মাসেহ করা। কান ও গর্দান মাসেহের ক্ষেত্রে নতুন করে পানি নেয়ার দরকার নেই। মাথা মাসেহ করার পানি দিয়ে করলেই চলবে।ড. উভয় পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধৌত করা। প্রথমে ডান পা এবং পরে বাম পা ধৌত করা। পায়েল আঙ্গুলি খিলাল করার ক্ষেত্রে ডান পায়ের কণিষ্ঠা আঙ্গুল হতে শুরু করে বাম পায়ের কনিষ্ঠাঙ্গুলিতে এসে শেষ করা এবং বাম হাতের কণিষ্ঠাঙ্গুলি দিয়ে খিলাল করা।অজুর সুন্নতসমূহ১. বিসমিল্লাহ বলা, ২. কবজিসহ উভয় তিন বার ধৌত করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. তিনবার কুলি করা, ৫. নাকে তিন বার পানি দেয়া, ৬. সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা, ৭. প্রত্যেক অঙ্গকে তিনবার করে ধৌত করা, ৮. কান মাসেহ করা, ৯. উভয় হাত এবং পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা, ১০. নিয়্যাত করা, ১১. ধারবাহিকভাবে ওজু করা, ১২. এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বেই পরবর্তী অঙ্গ ধৌত করা, ১৩. ডান থেকে শুরু করা। এগুলো ওজুর করার সুন্নাত।
পরিশেষে...ইবাদত-বন্দেগি কবুলের জন্য আল্লাহ শিখানো পদ্ধতিতে আদায়ের ক্ষেত্রে ওজু ফরজ থেকে শুরু করে মোস্তাহাব পর্যায়ে এসে শেষ হয়েছে। সুতরাং আমরা উত্তমরূপে ওজুর করে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগিতে মনোনিবেশ করবো। আল্লাহে তা’আলা সবােইকে ওজুর ফরজ ও সুন্নাত সমূহ শিখে ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। গুরুত্বপূর্ণ দু’আ ও আমল শিখুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।# আহকামে ওজু তথা ওজুর ফরজসমূহ
Advertisement
এমএমএস/এসএইচএস