বুধবার রাতে এক দফা সংঘর্ষের পর ফের সংঘাতে জড়ালো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এ সংঘর্ষ চলে।
Advertisement
এতে সাত ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী হলের প্রায় ২০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকসহ পাঁচটি রামদা উদ্ধার করেছে।
বিবাদান দুটি পক্ষ হচ্ছে বিজয় ও সিএফসি গ্রুপ। উভয়ই শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। বর্তমানে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।
আহতরা হলেন- ইংরেজী বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল , সমাজতত্ত্ব বিভাগের ১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান , বাংলা বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইমরান হাসান, একই শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আব্দুস সাত্তার, ইতিহাস বিভাগের ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ওসমান ও ইংরেজি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রহমত উল্লাহ ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। তবে আটকদের নাম পাওয়া যায়নি।
Advertisement
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকালের রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দীতে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করলে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এ সময় পাঁচটি রামদা ও চার ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের জামান নূর বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে দুষ্কৃতকারীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালায়। তবে এর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ও সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাসে আসতে কোনো বাধা নেই।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, রাতের ঘটনার রেশ না কাটতেই সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা আমাদের কর্মীদের কক্ষে ঢুকে সশস্ত্র হামলা করে। এ সময় তারা ২০টির অধিক কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে দুটি আই ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আখরুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জেনেছি।
Advertisement
আবদুল্লাহ রাকীব/আরএআর/এমকেএইচ