লাইফস্টাইল

যেসব ফেসপ্যাক আপনার বয়স কমিয়ে দেবে!

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের বলিরেখা বয়সের জানান দেয়। ত্বকের সৌন্দর্য হারাতে বসে মন খারাপ করাটাই স্বাভাবিক। তবে নিজের একটু যত্ন আর জীবনযাপনের সঠিক অভ্যাস মেনে চললেই ত্বকের বয়সকে ধরে রাখা যায়।

Advertisement

এছাড়াও কিছু ঘরোয়া ফেসপ্যাক আছে যা এই কাজে সাহায্য করে। নিয়মিত এসব ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে বয়স আটকে থাকবে নিশ্চিত-

আরও পড়ুন: ত্বকের যত্নে কিভাবে নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন? 

ভাতের প্যাক

Advertisement

ত্বকের বয়স ধরে রাখতে ভাতের ফেসপ্যাক ম্যাজিকের মতো কাজ করে। জাপানে এর চল খুব বেশি। জাপানি মেয়েরা বয়স ধরে রাখতে এই ফেসপ্যাক খুব ব্যবহার করে। ভাতে থাকে লিনোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই যা ত্বকের বলিরেখাকে দূরে সরিয়ে ত্বকের বয়সকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের গ্লো বাড়াতেও সাহায্য করে।

প্যাকটি তৈরি করার জন্য প্রথমে ৩ থেকে ৪ চামচ ভাত, দেড় চামচ মধু ও ২ চামচ দুধ নিন। এবার ভাত গরম অবস্থায় ভালো করে চটকে নিন। এরপর এতে মধু ও দুধ দিন। দুধ একটু গরম হলে ভালো হয়। সবকটি ভালো করে মেশান। মুখ ধুয়ে নিন। এবার এই ঘন প্যাকটি মুখে, গলায় লাগান। শুকিয়ে এলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করলেই এটি যথেষ্ট।

গ্রিনটি প্যাক

গ্রিনটি তে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বেশ সাহায্য করে। গ্রিনটি, ডিম ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে, লেবুর রস ত্বককে উজ্জ্বল করতে ও ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং কলা বলিরেখা থেকে দূরে থাকতে অনেকটাই সাহায্য করে।

Advertisement

প্যাকটি তৈরি করার জন্য ১ চামচ করে মধু, লেবুর রস ও গ্রিনটি পাউডার, একটি ডিম ও একটা পাকা কলা নিন। সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখসহ ঘাড়-গলায় লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুদিন করুন।

দইয়ের প্যাক

বয়স বাড়লেই স্কিন ঝুলে যেতে থাকে। দইয়ে আছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস, এনজাইমস যা ত্বককে হাইড্রেড রাখে ও টাইট রাখতে বেশ সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: নিমিষেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায় 

প্যাকটি তৈরি করার জন্য ২ চামচ দই, মধু ১ চামচ, একটু লেবুর রস, একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও এক চিমটে হলুদ গুঁড়া নিন। সব উপকরণ ভালো করে মেশান। ঘন পেস্ট বানান। এবার এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন করতে পারেন।

এইচএন/এমকেএইচ