আন্তর্জাতিক

কাশ্মীর হামলা নিয়ে প্রশ্ন : কেন আকাশপথে নেয়া হয়নি সেনাসদস্যদের?

জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপুরায় হামলার পরদিন বিস্ফোরণস্থলে যায় দেশটির সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড এবং এনআইএ। বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানির পর দেশটির গোয়েন্দাবাহিনীর ব্যর্থতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

জম্মু কাশ্মীরে তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারের হামলাকে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা বলা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের প্রাণঘাতী এই হামলায় মারা গেছেন ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান।

কী ঘটেছিল সে দিন

কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপুরার সড়কপথ ব্যবহার করে আড়াই হাজারের বেশি সিআরপিএফ জওয়ান যাচ্ছিলেন। ৭৮টি সাঁজোয়াযুক্ত বাসে করে জম্মু কাশ্মীর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় হামলা হয়। পুলওয়ামায় হামলার ঠিক দু'দিন আগে, জয়েশ-ই-মোহাম্মদের সদস্যরা আফগানিস্তানে গাড়ি বিস্ফোরণের একটি ভিডিও আপলোড করে। জম্মু কাশ্মীরের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ভিডিওটি শেয়ার করে এবং সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে তথ্য দেয়।

Advertisement

আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে একঘরে করতে ভারতের দৌড়ঝাঁপ শুরু 

এনডিটিভি বলছে, সাধারণত সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তার জন্য বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সে দিন বিশালসংখ্যক জওয়ান একসঙ্গে যাচ্ছিলেন; যে কারণে বিমানের পরিবর্তে তাদের সড়ক পথে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। হামলার দু'দিন আগে থেকেই জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় জম্মু থেকে ওইদিন ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কনভয় রওনা দেয়। ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন জওয়ানরা এবং তাদের মোতায়েন করার আগে শ্রীনগরে রিপোর্টিং করার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী বোমারু আদিল আহমেদ দার হামলার চালানোর জন্য একটি গাড়িতে অপেক্ষা করছিল। গাড়িতে ছিল ৬০ কেজি শক্তিশালী আরডিএক্স বিস্ফোরক। বিস্ফোরণ এতটা শক্তিশালী ছিল যে কয়েকশ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে কয়েকটি বাসের খণ্ডাংশ।

আরও পড়ুন : কাশ্মীরে হামলা : পাকিস্তান সফর পিছিয়ে দিলেন সৌদি যুবরাজ 

Advertisement

সিআরপিএফ জওয়ানদের দুটি বাসকে টার্গেট করে বাম দিক থেকে কনভয়ের বাসে হামলা চালায় বোমারু আদিল। এই দুই বাসের একটির সামনে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায় কয়েক কিলোমিটার দূরে থেকেও। একটি বাস বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং আরেকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সিআরপিএফ জওয়ানদের বাস চলাচলের জন্য ওইদিন সকালেই জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ থাকলেও জাতীয় ওই সড়কে পৌঁছায় বোমারু আদিল। এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এসআইএস/এমকেএইচ