একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইশতেহারে খেলাধুলার উন্নয়নে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ইশতেহার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে জরুরী সভা করেছে মন্ত্রণালয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব বিভাগ, সংস্থা ও দপ্তর প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
সভা শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম বলেছেন, ‘এটা নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের প্রথম সভা। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব বিভাগকে নিজ নিজ পরিকল্পনা তৈরি করে এ সভায় উপস্থিত হওয়ার আহবান করা হয়েছিল। আমরা বিভিন্ন বিভাগ, সংস্থা ও দপ্তর প্রধানরা সভায় নিজেদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছি।’
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মহাপরিচালক, শেখ হাসিনা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মহাপরিচালক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া ফাউন্ডেশনের সচিবকে এ জরুরী সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কর্মকৌশল প্রণয়ন করার জন্যই এ সভা। আমরা যে সব সংস্থা, বিভাগ ও অধিদপ্তরে আছি, তারা ইশতেহার বাস্তবায়নের কর্মকৌশলের খসড়া উপস্থাপন করেছি। মন্ত্রণালয় এ খসড়াগুলো সমন্বয় করে তা নিয়ে আলোচনা করেছে’-সভা শেষে বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম।
Advertisement
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর। তার ১১ দিন আগে ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর হোটেল সোনার গাঁয়ের বলরুমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা তার আগের ১০ বছরের শাসনামলে ক্রীড়াক্ষেত্রে যেসব সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তা উল্লেখের পাশাপাশি নতুন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইশতেহারে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারের ৩.২৮ অনুচ্ছেদে ছিল, দেশের যুব সমাজ ও ক্রীড়ার বিষয়ে অতীত অর্জন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের গৌরব জাগানো অবস্থান আরো সুদৃঢ় করা, ফুটবল-হকিসহ অন্যান্য খেলাকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করা, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে খেলাধুলা ও শরীর চর্চাকে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে প্রথম সভায় সবার কাছে পরিকল্পনা চেয়েছিলেন মো. জাহিদ আহসান রাসেল। ‘মন্ত্রী মহোদয় ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে পরিকল্পনা প্রদানের যে আহবান জানিয়েছিলেন, তাতে আমরা কিছু কিছু সাড়া পাচ্ছি। অনেক ফেডারেশন পরিকল্পনা দিচ্ছে। যখন সবগুলো পাবো, তারপর মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে আমরা আবার বসে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবো’-বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম।
আরআই/এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement