জাতীয়

দূর হোক ভয়, চিত্তে আনো জয়

‘ভয়’ সে তো পরাজয়ের অন্ধকার সিঁড়ি! ‘শঙ্কা’ সে তো বেঁচে থাকার গ্লানি! দূর হোক ভয়, চিত্তে শঙ্কা নয়। নতুনের কেতন উড়িয়ে আসুক চেতনার ঝাণ্ডা। নব-উদ্যোমে প্রাণ জাগিয়ে গাও মানুষেরই জয়গান। অন্যদিনের মতো আজও সূর্য উঠবে প্রকৃতির নিয়মে। আজও সে সূর্য আলো ছড়িয়ে ভুবন আলোকিত করবে স্বাভাবিক নিয়মে। এমন স্বাভাবিকতার মধ্যেও আনন্দ-উল্লাস মেলে ধরবে নতুন বছরের নতুন সূর্য।

Advertisement

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা পারের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় বিশ্ব।

আজ ইংরেজি নববর্ষ ২০১৯। নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুত গোটা দুনিয়ার মানুষরা। হতাশা আর জরাকে পায়ে মাড়িয়ে আশা-উদ্দীপনায় নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখবে সবাই। না পাওয়ার বেদনা ভুলে নতুনের সুরে গাইবে জীবনের জয়গান। অগ্রযাত্রার মশাল হাতে নিয়ে আলোময় আর সুন্দর করবে জীবনের পথচলা। সকল পুরনো পেছনে রেখে নতুনকে সারথি করতে ব্যাকুল হবে মন। ব্যাকুল হবে নতুন বছরের নতুন সূর্যে মনের রঙ রাঙাতে।

ইংরেজি বছরের প্রথম দিন আজ

Advertisement

গ্রেট ব্রিটেনে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয় ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে। এই ক্যালেন্ডার আমাদের দেশে নিয়ে আসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে নাম ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিসরে প্রচলিত ক্যালেন্ডারটি রোমে এনে তার কিছুটা সংস্কার করে রোম সাম্রাজ্যে চালু করেন। এই ক্যালেন্ডারে জুলিয়াস সিজারের নামে জুলাই মাসের নামকরণ করা হয়।

মিসরীয়রা বর্ষ গণনা করত ৩৬৫ দিনে। তাদের ক্যালেন্ডার সংস্কার করে জুলিয়াস সিজার যে ক্যালেন্ডার রোমে প্রবর্তন করলেন তাতে বছর হলো ৩০০ সাড়ে পঁয়ষট্টি দিনে। তবে মিসরীয় ক্যালেন্ডার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, এই ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪২৩৬ অব্দে। ইংরেজি নববর্ষের প্রবর্তন নিয়ে ভিন্ন মতও আছে।

পশ্চিমা বিশ্ব এই দিনকে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে পালন করে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা ইংরেজি নববর্ষকে স্মরণ করতে বিশেষ আয়োজনে মেতে ওঠে। রাজধানী ঢাকায় এ উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে দেশের অন্যান্য শহরেও।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলগুলোতে বিশেষ আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

Advertisement

এএসএস/এমএআর/জেএইচ