জাতীয়

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দম্পতি মৃত্যুশয্যায়

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দম্পতি মৃত্যুশয্যায়

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের নবীনগর হাউজিং এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হাফেজ মো. রুবেল (২৫) ও সাজনা (২০) নামে এক দম্পতি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৫টা দিকে এ ঘটনা ঘটলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

চিকিৎসকরা জানান, রুবেলের শরীরের ৯৭ শতাংশ এবং সাজনার ৮৭ ভাগ শরীর দগ্ধ হয়েছে। দু’জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এ ধরনের মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ রোগীরা সাধারণত ফিরে আসেন না। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে শতকরা ১৫ ভাগের বেশি দগ্ধ হলেই প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত নার্স জানান, ওই দম্পতি নীচতলার ১০৫ নম্বর অবজারভেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন। তবে নার্স রুবেলের স্ত্রীকে (সাজেনা) পাশের অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়েছে।

অবজারভেশন ওয়ার্ডে দেখা যায়, দগ্ধ রুবেলে মুখ ছাড়া সারা শরীর সাদা ব্যান্ডেজে মোড়ানো। মুখও ফুলে রয়েছে। তার শয্যাপাশে বসে আছেন রুবেলের ভাই নুরুন্নবী।

Advertisement

তিনি জানান, ভোলার লালমোহনের চরকচ্ছপিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুবেল দাখিল ও আলিম পাসের পাশাপাশি কোরআনে হাফেজ। সে ঢাকা উদ্যানে একটি ডেইরি ফার্মে ম্যানেজারের চাকরি করেন। একই সঙ্গে নবীনগর হাউজিং-এর একটি বাড়ির কেয়ারটেকারেরও দায়িত্ব পালন করতেন।

তিনি আরও জানান, টিনশেডের ওই বাড়িতে মোট পাঁচটি পরিবার ছিল। গতরাতে (সোমবার দিনগত রাত) তার ভাই-ভাবী দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে বিকট শব্দ ও ভাবীর কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দরজা ভেঙে দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে।

নুরুন্নবী জানান, ভাই বার বার পানি পানি বলে চিৎকার করছে। সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে বলছেন। তবে নার্সরা বেশি পানি দিতে বারণ করছেন। ভাইয়ের চিৎকার দেখে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।

এমইউ/আরএস/এমএস

Advertisement