জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অর্থের উৎস নিয়ে অতিরিক্ত সাক্ষ্য এবং সাজার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিলে আরও সময় চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
Advertisement
আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে আগের বেঁধে দেয়া ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই এখন এ মামলার আপিল শুনানি শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে এ মামলায় সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের আপিল শুনানিও শেষ করতে হবে।
সোমবার আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গতকাল (২৮ অক্টোবর, রোববার) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থের উৎস নিয়ে অতিরিক্ত সাক্ষ্য এবং আপিল শুনানির জন্য আরও সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়। আজ আরও শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
Advertisement
গত ২৪ অক্টোবর চেম্বার জজ আদালত খালেদার আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রোববার (২৮ অক্টোবর) দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন। পরে রোব ও সোমবার দুইদিন শুনানি হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতে সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদনের ওপর দুদকের পক্ষে গত ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
অন্যদিকে এ মামলার ৩২ নম্বর সাক্ষী সাবেক রাষ্ট্রদূত খন্দকার আবদুস সাত্তারের অধিকতর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য (মামলায় যে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, সেই টাকার উৎস জানতে) হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয় ২২ অক্টোবর।
ওই দিনই আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করার মৌখিক আদেশ দিয়ে বলেন, মূল মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে এ আবদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। কিন্তু ২৪ অক্টোবর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা ওই আবেদনের বিষয়ে লিখিত আদেশ চান। আদালত আগের দিনের মতো একইভাবে মূল আপিলের ওপর শুনানি করতে বলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা মূল আপিলের ওপর শুনানি না করে একজন সাক্ষীর অধিকতর সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়ে আবেদনের ওপর আদেশ চান।
Advertisement
এ বিষয়ে হাইকোর্ট লিখিত আদেশ না দিলে তারা আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। পরে আদালত মূল আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে এবং দুদকের আবেদনের ওপর দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। তাদের বক্তব্য শেষ হলে আদালত ওই দিনই অধিকতর সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে মূল আপিলের বিষয়ে আদেশের জন্য ২৪ অক্টোবর আদেশের দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে আবেদন করায় হাইকোর্ট ওই দিন কোনো আদেশ দেননি। পরবর্তী আদেশের জন্য ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনো শুনানি হয়নি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে ওই দিন বিকেলে (৮ ফেব্রুয়ারি) নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এফএইচ/এনএফ/আরএস/জেআইএম