ধর্ম

শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার ৭ আমল

‘নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন’ এ কথাটি আল্লাহর। আসলেই শয়তান মানুষের চিরশত্রু, যে ঘরে বা যে মজলিশে সে প্রবেশ করে ঐ ঘরের পরিবেশকে সমূলে বিনষ্ট করে দেয়, পরিবারের সদস্যদের মাঝে সৃষ্টি করে দ্বিধা বিভক্তি। যা মানুষের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে দেয়। ধংস করে দেয় সুন্দর আত্ম-সামাজিক অবস্থানকে। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য শয়তানের তথা মন্দের কুপ্রাভ থেকে বেঁচে থাকার আমল তুলে ধরা হলো-১. ঘরে অবস্থানরত লোকদেরকে সালাম দেয়া। আল্লাহ বলেন- ‘যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম করবে অভিবাদন স্বরূপ যা আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র। (সূরা আন-নূর : আয়াত ৬১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- তুমি যখন তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখন সালাম দিবে তা তোমার জন্য এবং তোমার পরিবারের জন্য বরকত হবে। (তিরমিজি)২. পানাহারের সময় দোয়া পাঠ করা-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- যখন কোন ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করার সময় এবং খাবার খাওয়ার সময় দুআ’ পাঠ করে তখন শয়তান বলে আজ এখানে তোমাদের রাত্রিযাপন এবং নৈশ ভোজের কোন সুযোগ নেই। (মুসলিম)৩. ঘরে সূরা আল-বাকারা তেলওয়াত করা-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- সবকিছুরই একটি চুড়া থাকে আর কোরআনের চুড়াহল সূরা আল-বাক্বারা, শয়তান যখন সূরা আল-বাকারার তেলওয়াত শুনে তখন সে ঐ ঘর থেকে বের হয়ে যায়। যেখানে তা তেলওয়াত করা হয়। (মুসতাদরেকে হাকেম)৪. গান-বাজনা এবং গান-বাজনার সরঞ্জাম থেকে ঘরকে মুক্ত রাখা-  আল্লাহর জিকির যেমন শয়তানকে দূরে রাখে তেমনিভাবে গান এবং বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ রহমতের ফিরিশতাগণকে দূরে রাখে। আর ঘর থেকে যখন ফিরিশতা বের হয়ে যায় তখন সেখানে শয়তান তার রাজত্ব কায়েম করে। আল্লাহর বাণী- ‘তোর আহ্বানে তাদের মধ্যে যাকে পারিস তাকে সত্যচুত কর” । (সূরা বানী ইসরাঈল : আয়াত ৬৪) হজরত মুজাহিদ এই আয়াতের ব্যাপারে বলেছেন, গান-বাজনা হল শয়তানের আওয়াজ।৫. ঘরকে কুকুরের প্রবেশ থেকে হেফাজত করা- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে সেঘরে ফিরিশতা প্রবেশ করে না। (বুখারি)৬. ছবি এবং বিভিন্ন জীব জন্তুর মূর্তি থেকে ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখা- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘যে ঘরে মূর্তি বা ছবি থাকে সেখানে ফিরিশতা প্রবেশ করে না।’ (মুসলিম)৭.  ঘরে প্রবেশ করার সময় এই  দোয়া পাঠ করা-‘বিসমিল্লাহি ওলাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা, ওয়া আ’লাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা’। (আবুদাউদ)মুসলিম মিল্লাতের উচিত উপরোল্লিখিত কর্মগুলো পরিহার করে রহমত বরকত লাভে সচেষ্টা হওয়া। আল্লাহ নৈকট্য অর্জন করার জন্য হাদিসের ওপর আমল করা। আল্লাহ আমাদের  উপরোক্ত আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমিন।জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। ইসলামি জীবন-যাপনে কুরআন-হাদিস মুতাবেক আমল করুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement