উন্নয়নের জন্য দাতা সংস্থার কাছ থেকে সহজ শর্তে ঋণ নেয়ার এখন প্রয়োজন হয় না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে সহজ শর্তে যে ঋণ নিতাম, এখন আর সেটার প্রয়োজন হয় না। বরং আমাদের চেয়ে যেসব দেশের আর্থিক অবস্থা খারাপ তাদেরকে এ ঋণ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান এম. খায়রুল হোসেন। এ সময় সংস্থার পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অন্যান্য শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
Advertisement
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন শোষণ, দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী একটি দেশের। আজ আমরা উন্নত দেশের দ্বারপ্রান্তে। দেশকে সমৃদ্ধশালী করার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম আর রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৯০ বছরের ব্রিটিশ স্বৈরশাসনের পতন ঘটানো হলেও পরবর্তীতে পাকিস্তানিরা ২৩ বছর এ দেশকে শাসনের নামে শোষণ করেছে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালে আমরা দেশকে স্বাধীন করলেও পরাজিত শত্রুরা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। দেশকে তলাহীন ঝুড়ি আখ্যায়িত করতে সচেষ্ট থাকে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন আন্তর্জাতিক নেতা, যা অনেক দেশ মেনে নিতে পারছিল না। কারণ, তিনি বেঁচে থাকলে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের শোষিত গণমানুষের দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়ে উঠবেন। যা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মেনে নিতে পারেনি। আর তাদেরই চক্রান্তে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সপরিবারে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
তিনি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। ১৯৮২ সালে দেশে আসার পর তিনি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন। সে সময় আমি বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এখনো চলছে। কেন তিনি দেশে ফিরে এ গুরুদায়িত্ব নিলেন।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ১৫ বছর তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন। মানুষকে বুঝিয়েছেন। এক পর্যায়ে ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসনের পতনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৬ সাল থেকেই মূলত দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা শুরু হয়। যা গত দুই দশক ধরে অব্যাহত রয়েছে। এ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় যেতে হবে। না হলে উন্নয়নের এ ধারা বাধাগ্রস্ত হবে।
এমইউএইচ/এএইচ/এমএস