ধর্ম

হজে ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ করলে করণীয়

হজ পালনকালে অনিচ্ছাবশত ত্রুটি-বিচ্যুতি বা নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটে যায়। এগুলোকে হজের পরিভাষায় জিনায়াত বলা হয়। এ সব ত্রুটি বিচ্যুতির মধ্যে কিছু বিষয় আছে অনেক বড় আবার কিছু বিষয় আছে ছোট। আবার কিছু বিষয় আছে যা একেবারে সাধারণ পর্যায়ের; যার কোনো কাজা বা কাফফারা নেই।

Advertisement

তবে হজের সময় অনিচ্ছায় ঘটে যাওয়া ত্রুটি বা বিষয়গুলোর গুরুত্ব ও লঘুত্ব বিবেচনায় কয়েকটি বিধান রয়েছে। আর তাহলো- দম, বুদনা ও সাদকা।

দমএকটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা জবেহ করা। গরু, মহিষ বা উট হলে তার ৭ ভাগের এক ভাগ দেয়া।

- যদি কেউ হজ বা ওমরার ওয়াজিব আদায়ে ভুল করে ফেলে অথবা ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে ফেলে তবে তাকে দম দিতে হবে।- আবার অনেক সময় একাধিক দমও দিতে হয়। কারণ ইহরাম অবস্থায় কিরান হজ পালনকারী হাজি তার ত্রুটির জন্য হজ ও ওমরা উভয়টির নিয়তের কারণে ওমরার আগেই ২টি দুম দিতে হয়। কেননা কিরান হজ পালনকারী ব্যক্তি এক ইহরামেই হজ ও ওমরা পালন করবে।

Advertisement

বুদনাএকটি পূর্ণ গরু বা উট কুরবানি দেয়া। এটা দুটি কাজের সংঘটিত হলে দিতে হয়-- জানাবাত তথা গোসল ফরজ অবস্থায় অথবা হায়েজ (ঋতুস্রাব) ও নিফাস (সন্তান জন্মদানের পর রক্ত নির্গত হওয়া) অবস্থায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করলে এবং- ওকুফে আরাফা বা আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পর মাথা মুণ্ডনের আগে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করলে পূর্ণ গরু বা উট কুরবানি দিতে হয়।

আরও পড়ুন > হজের ওয়াজিব : যা ছুটে গেলে কুরবানি ওয়াজিব

সাদকাফিতরা অথবা ১ কেজি ৭৫০ গ্রাম গম বা তার মূল্য দান করাকে বোঝায়।- সাধারণত ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্খ কাজগুলো কোনোটি করলে অথবা হরম এলাকায় নিষিদ্ধ কোনো কাজ করলে প্রতিবিধান স্বরূপ ‘দম’ দেয়ার পাশাপাশি ক্ষেত্র বিশেষ সাদকাও দিতে হয়।- এ সব সাদকা আদায়ে কেউ এক বা দু মুষ্টি গম দ্বারা আদায় করতে পারে।- আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পৌনে ২ সের (১ কেজি ৭৫০ গ্রাম্র) গম বা আটা দ্বারা আদায় করতে পারে।- আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাড়ে ৩ সের (৩ কেজি ৫০০ গ্রাম) গম বা আটা সাদকা হিসেবে দিতে হয়।

মনে রাখতে হবেহজের যে ৩টি কাজ ফরজ এর কাজা আদায় করতে হবে। এ কাজে ভুল হলে তার কোনো কাজা নেই। পরের বছর পুনরায় এ কাজগুলো আদায় করার মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে হবে।

Advertisement

সুতরাং হজ ও ওমরা আদায়ে অবশ্যই নিষিদ্ধ কাজগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে এমন কোনো নিষিদ্ধ কাজ না হয়; যার কারণে দম, বুদনা বা সাদকা দিতে হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরার কাজগুলো ধীরস্থিরভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। দম, বুদনা ও সাদকা দেয়ার মতো কাজ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম