দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের জেল হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তবুও দেশটির সাধারণ নির্বাচনে তাকে ঘিরেই আলোচনা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, আইএসআই নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়মকে নির্বাচনের আগে জেল থেকে বের হতে দিতে চায় না। সম্প্রতি দেশটির প্রধান বিচাপতির কাছে এমন চাপ এসেছে বলেও জানিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতি।
Advertisement
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ের আশাবাদী তেহরিক-এ-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানও তাকে নিয়ে কথা বলছেন। করাচিতে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, নাগাড়ে ভারতের স্বার্থরক্ষা করে চলেছেন নওয়াজ। জেলে বসেও ষড়যন্ত্র করে চলেছেন, কিভাবে ভোট ভেস্তে দেয়া যায়। ভোটে ‘রিগিং’ হবে বলে অমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সবই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে।
ইমরান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের সেনাবাহিনীকে গালমন্দ করাটাও অভ্যাসে পরিণত করেছেন নওয়াজ। আর নির্লজ্জের মতো ভারতের সঙ্গে ভিড়তে চেয়ে বলে বেড়াচ্ছেন, মুম্বাই হামলার পিছনে পাকিস্তানের হাত ছিল।
রাওয়ালপিন্ডি বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শওকত সিদ্দিকি বলেন, ‘দেশের বিচারব্যবস্থা আর সংবাদমাধ্যম -সবই এখন বন্দুকওয়ালার (সেনার) নিয়ন্ত্রণে। সত্তর বছরের ইতিহাসে অর্ধেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেছে সেনা। এখন পাকিস্তান না মুসলিম দেশ, না গণতান্ত্রিক।’
Advertisement
এদিকে দেশেটির একাধিক সংবাদমাধ্যম বলা হচ্ছে, জেলে ভালো নেই নওয়াজ শরিফ। তার রক্তে ইউরিয়া এবং নাইট্রোজেনের মাত্রা বিপজ্জনক সীমায় বেড়েছে। কিডনিও বিকল হতে চলেছে।
আরএস/জেআইএম