ভ্রমণ

ঘুরে আসুন হরিণঘাটা বনাঞ্চল

ঘুরতে সবারই ভালো লাগে। তবে তা যদি হয় বনাঞ্চল কিংবা সমুদ্রসৈকত। তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাই সময়-সুযোগ বুঝে ঘুরে আসতে পারেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হরিণঘাটা থেকে।

Advertisement

অবস্থান: বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ও পায়রা বন্দর। এর পূর্বে বিষখালী আর পশ্চিমে বলেশ্বর নদের মোহনায় অবস্থিত হরিণঘাটা বনাঞ্চল।

নামকরণ: বড় প্রজাতির মায়াবী চিত্রল হরিণের বিচরণস্থল হওয়ায় এ বনের নামকরণ করা হয়েছে হরিণঘাটা বনাঞ্চল।

বনায়ন: ১৯৬৭ সাল থেকে বন বিভাগের সম্প্রসারণে নানা প্রজাতির গাছ রোপণের মাধ্যমে বনটি সৃষ্টি করা হয়। বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার একরজুড়ে দৃষ্টিনন্দন এ বনে কেওড়া, গেওয়া, পশুরসহ সুন্দরী ও ঝাউবন রয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ২০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বনায়ন করা হয়। এছাড়া সাগর তীরে লালদিয়ার চরে নতুন বন হওয়ায় পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। এটি এখন বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য।

Advertisement

> আরও পড়ুন- ঈদে মৌলভীবাজারে কমিউনিটি ট্যুরিজম

প্রাণী: বিভিন্ন বৃক্ষরাজির সুবাদে বনের পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। তবে নেই কোন হিংস্র প্রাণী। আছে হরিণ, বনমোরগ, বানর, শুকর, গুইসাপ, লাল কাঁকড়া। এছাড়া রয়েছে নানা প্রজাতির সরীসৃপসহ প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি। এমনকি হরেকরকম পাখির কলকাকলিতে মুখরিত চারপাশ।

সৈকত: ঘন বন আর সবুজে ছাওয়া বনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে লালদিয়া, পদ্মা, লাঠিমারা সৈকত। সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার জন্য এরচেয়ে ভালো পরিবেশ আর নেই।

দর্শন: সাগরের তীর দেখার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ফুট ট্রেইল। এছাড়া বনের ভেতর নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, বিশ্রামাগার ও গোলঘর। এ বনের সবেচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো- বনের ভেতরে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা ছোট-বড় প্রায় ১০-১২টি খাল। জোয়ারের সময় খালগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। ছোট ছোট নৌকায় করে উপভোগ করা যায় বনের মধ্যকার সবুজের সমারোহ।

Advertisement

এসইউ/এমএস