ধর্ম

কয়েকটি সুরার ফজিলত ও আমল

আজ ২২তম তারাবি অনুষ্ঠিত হবে। আজকের তারাবিতে যে সুরাগুলো তেলাওয়াত করা হবে; প্রতিটি সুরার রয়েছে আলাদা আলাদা ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য। যেগুলোর আমল করা মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সুরাগুলোর আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-

Advertisement

সুরা যুখরূফ-এর আমলের ফজিলত- তাফসিরে দুরারুন নজমে এসেছে, এ সুরাটি লিখে বৃষ্টির পানি দ্বারা ধৌত করে পান করলে কফ-কাশি দূর হয়।- যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখবে যে, সুরা যুখরূফ তেলাওয়াত করছে, তার অর্থ দাঁড়াবে ঐ ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে সফল হবে আর পরকালে সে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে।

সুরা দুখান-এর আমলের ফজিলত- ইবনে মারদুবিয়া হজরত আবু উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে অথবা জুমআর দিনে সুরা দুখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরি করেন।

আরও পড়ুন > নামাজ পড়বেন যেভাবে

Advertisement

- বাইহাকি বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে এ সুরা এবং সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে। সে সকালে এমন অবস্থায় জাগ্রত হবে যে, তার সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে।- ইমাম তিরমিজি ও বাইহাকি হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা দুখান তেলাওয়াত করবে, সত্তর হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে।- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় সুরা দুখান, সুরা গাফের ও আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবে, সকাল পর্যন্ত তাঁর হেফাজত করা হবে এবং সে কোনো প্রকার মন্দ কিছু দেখবে না।

আরও পড়ুন > সালাতুত তাসবিহ যেভাবে পড়তে বলেছেন প্রিয়নবি

সুরা ঝাছিয়া-এর আমলের ফজিলত- যে ব্যক্তি স্বপ্নে এ সুরাকে পাঠ করতে দেখে, তার মধ্যে দুনিয়া ত্যাগের ভাব তৈরি হবে এবং সে পরহেজগার তথা আল্লাহভীরু হবে।- সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর কেউ যদি এ সুরা লিবিপদ্ধ করে তার দেহে বেঁধে রাখে, তবে সব ধরনের কষ্টদায়ক বস্তু থেকে নবজাতক শিশু হেফাজত থাকবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ সুরাগুলোর নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। আামিন।

Advertisement

এমএমএস/পিআর