ক্যাস্পাসে গোলাগুলি কেন, কেন চায়ের দোকান বন্ধ, কেন শিক্ষার্থীদের আটক করা হচ্ছে, ছাত্ররা হলে না ক্যাম্পাসে থাকবে তা বলার আপনারা কে? স্বায়ত্বশাসিত ক্যাম্পাসের ব্যাপারে পুলিশ নাক গলাবেন না।
Advertisement
আকস্মিক একদল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে এভাবে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার লজিস্টিক ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ডিসি ঈমাম হোসেন, এডিসি, এসিসহ অর্ধশত পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ঢাবি ছাত্র আশিক বলেন, ক্যাম্পাসে কিভাবে পুলিশ ঢোকে, কিভাবে বলে তোমরা হলে যাও। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। ছাত্ররা পুলিশের কমান্ড মানে না।
Advertisement
লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র রাব্বির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে অরাজকতা করেছে পুলিশ। পুলিশ হলে, ক্যাস্পাসে গুলি ছুড়েছে, টিয়ারগ্যাস মেরেছে। শিক্ষার্থীদের আটক করেছে। এসব স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নোংরামি। কোটার সংস্কারের দাবি যৌক্তিক বলেও দাবি করেন এ শিক্ষার্থী।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিক) ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, জননিরাপত্তা বিঘ্নি যাতে না ঘটে, নাশকতা এড়ানো যায় এবং আন্দোলনের নামে যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সেটিই দেখছে পুলিশ। এরপরও যারা বিশৃঙ্খলা করবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
ডিএমপি কমিশনারের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে বলেন, আপনাদের ক্যাম্পাসে কে ঢুকতে বলেছে? প্রক্টর আমাদের শৃঙ্খলার অভিভাবক। আপনারা এক্ষুনি ক্যাস্পাস ত্যাগ করবেন।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিক) ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, আমাদের পুলিশের ক্যামেরা কই? এদের প্রত্যেকের ছবি তুলে রাখো, আন্দোলনে এদের দেখা পেলে আটক করা হবে।
Advertisement
এসময় শিক্ষার্থীরা বলতে থাকেন, আমরা আপনাদের ভয় পাই না। পুলিশ বহিরাগত। এ ক্যাম্পাসে পুলিশকে আমরা দেখতে চাই না।
পরে পুলিশ কর্মকর্তারা সরে যান।
জেইউ/এসআর/জেআইএম