নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শেহরিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা।
Advertisement
আজ (রোববার) সকাল দশটার দিকে তাকে ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘আহত শেহরিনের শরীরে অস্ত্রোপচার করে চামড়া লাগানো স্থানগুলো শুকিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার ৯০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। বাকিটুকু বাড়িতে থেকে সেরে উঠতে পারবেন। মেডিকেল পরীক্ষা অনুযায়ী তিনি সুস্থ আছেন। তাকে আগামী দু’সপ্তাহ পরে আবার স্বশরীরে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আহত শেহরিনসহ এ পর্যন্ত আমরা মোট চারজনকে সুস্থ শরীরে ছাড়পত্র দিতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি বাকিরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। চিকিৎসাধীন অপরজন আলিমুন নাহার এ্যানীর শরীরের অবস্থা ভালো হলেও তার মানসিক অবস্থা এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়। তাই তাকে আরও কয়েক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকতে হবে’।
Advertisement
এছাড়া সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন তিনজনের মধ্যে কবির হোসেনর অবস্থা একটু ক্রিটিক্যাল বলে জানিয়েছেন সামন্ত লাল।
তিনি বলেন, ‘তার ডান পা কেটে ফেলা হয়েছিল। এখন বাম পাও সম্ভবত কাটতে হবে। বাম পায়ে সংক্রামণ দেখা দিয়েছে। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন’।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১। এতে নিহত হন ৪৯ জন, যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। আহত হন আরও ১০ বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে তিনজনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হলেও দেশে আনা হয় সাতজনকে।
তাদের মধ্যে শাহিন ব্যাপারী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সিঙ্গাপুরে নেয়া হয় কবির হোসেন নামে একজনকে। ঢামেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও শেখ রাশেদ রুবায়েত। এসএইচ/এমএমজেড/এমএস
Advertisement