সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা আর চাহিদা পূরণের কথা মাথায় রেখেই ক্ষমতায় বসতে হয়েছে তাকে। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সেসব কথা একদমই ভোলেননি। সাংবাদিক হত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিপ্লব দেব। এবার দায়িত্বে গাফিলতির দায়ে বরখাস্ত করলেন তিন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে। এদের মধ্যে একজন ব্লক ডেভলেপমেন্ট অফিসারও রয়েছেন।
Advertisement
ত্রিপুরায় দীর্ঘ আড়াই দশকের লাল দুর্গে ফাটল ধরিয়েছে পদ্ম শিবির। ভোটের অঙ্ক আলাদা। সেখানে অন্য রাজনীতি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মানুষের হয়ে কাজ করাই যে মুখ্য, এই শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাননি নতুন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি খুব ভাল করেই জানেন, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা অটুট ছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাম শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ত্রিপুরার বেশিরভাগ মানুষ।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে যে শ্যাওলা জমে প্রশাসনে, এখানেও তা হয়েছিল বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বামদের দূরত্ব বেড়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছে। সেই ক্ষোভই চালিত হয়েছে ভোটবাক্সে। সুতরাং এখন মানুষের ক্ষোভ মেটানো ও চাহিদা পূরণই যে তার আশু কর্তব্য তা ভালই জানেন বিপ্লব দেব।
শুরুতেই তাই চাহিদা মেনে দুই সাংবাদিক হত্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় আইনি দিক খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছেন। কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোরও পরিকল্পনা নিয়েছেন। তবে সেখানেই শেষ নয়। আরও বৈপ্লবিক পদক্ষেপের দিকে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement
উত্তর ত্রিপুরায় বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েই চমকে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায় কী কাজ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছিলেন। তখনই বুঝতে পারেন কেন্দ্রীয় বরাদ্দই হয়েছে। কোথাও কোনও কাজ হয়নি। এমনকি রাস্তা সারানোর কাজও হয়নি। এরপরই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বিপ্লব দেব তিন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
টিটিএন/জেআইএম