দেশজুড়ে

১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার খুলনায় যাচ্ছেন। খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি। এই জনসভাকে কেন্দ্র করে সুবিশাল নৌকার মত মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। খুলনার ইতিহাসে এত বড় এবং ব্যয়বহুল মঞ্চ আগে কখনও নির্মাণ হয়নি। ১১০/৩০ ফুট এই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই সুসজ্জিত নৌকার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে মূল মঞ্চের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের ঠিকাদার আকতার হোসেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে মঞ্চ নির্মাণের কাজ করছেন প্রায় ৩০ জন মিস্ত্রী। গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে আছেন ৩০ জন শ্রমিক। মঞ্চ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন চারজন। রং মিস্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে সাতজন। মঞ্চের মূল মিস্ত্রী যশোরের পাইকপাড়ার শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগের দুইটি বিশাল জনসভার মঞ্চ নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জের জনসভার মঞ্চও ছিল।

শফিকুল ইসলাম জানান, নূর ডেকোরেটরের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন জড়িত আছেন। এবারের মঞ্চের ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি এবং মজবুত। অত্যাধুনিকভাবে এই মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি এই মঞ্চের সকল খরচ নিয়ন্ত্রণ করছেন। এই মঞ্চে ৪০০ নেতা বসতে পারবেন।

Advertisement

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এমপি জানান, এই মঞ্চে ২৬০ জন নেতা বসবেন। প্রথম সারিতে ৩০ জন, দ্বিতীয় সারিতে ৩০ জন এবং শেষ সারিতে ১০০ চেয়ার বসানো হবে।

কারা মঞ্চে থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেবিনেট মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ থানার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এই মঞ্চে থাকতে পারবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হচ্ছে সার্কিট হাউজ ময়দান এলাকা। তিনটি স্থানে ২৪টি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো মাঠকে। ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সঠিকভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এসএসএফ, এনএসআই, সিটিএসবি এবং ডিএসবি এর নিয়ন্ত্রণে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে।

খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, খালিশপুর ও খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠের জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নগরীর প্রবেশ পথসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট, মোবাইল টহল, র্যাবের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া হোটেল, ছাত্রবাসগুলোতেও নজরদারি করা হচ্ছে। মাঠে ও মাঠের বাইরে সাদা পোশাক, পোশাকধারী এবং মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

Advertisement

আলমগীর হান্নান/আরএআর/এমএস