সাহিত্য

জাকিয়া নাজনীনের তিনটি কবিতা

পরম্পর

Advertisement

আমাকে শেখালে নদী-চরিত্র!তবে শোনো হে নদীভক্ত পুরুষ, তোমাকে জানাই সত্য আমিই মুঠোয় ধরি সনাতনী পাহাড়, বরফশুভ্র চূড়াহুলস্থুল সূর্য্টা বহুকাল হয়ে থাকে হাসিখুশি রঙ টিপ আমার কপালেঅতঃপর প্রমাণিত হলে শুদ্ধতা মুঠো ভরে পুরে দিই নিবিড় উষ্ণতাপবিত্র নদীরা ভূমিনিষ্ঠ হয়এইসব নদীতীরে যে প্রথম বসতি গড়ে যার নামে বেড়ে ওঠে জনপদ সেও আমিআর তাই নদীদের নামাবলি কেবল আমারই আছে জানাআজ সেইসব নাম-মন্ত্র উচ্চারণ করব বলে দাঁড়িয়েছি কাছাকাছি আমায় চিনেছ, কবি?

উজ্জ্বলতম আলো

ওইসব রাতযেসব রাতে শরীর বালি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে অন্তর পাখি হয়ে অচেনা অন্ধকারে গিয়ে দাঁড়ায়উজ্জ্বলতম আলোর মতনতখন তাকে চেনা নামে ডাকতেও ভয় হয়কেননা দূর থেকে তাকে ইবলিশের চেয়েও বেশি নিবেদিতপ্রাণ বলে মনে হয় এবাদতেঅথচ তুমি জানো আর অভিজ্ঞতা থেকে আমিও কিছুটাএরপর কতটা অহংকারে পড়ে যাবে পা; ডুবে যাবে অন্তর আবারও দাসত্বেতবু ওইসব রাত! ওইসব রাতের অন্তরভেদী আকর্ষণে নাম আর ভাতের নেশা সহ্য করে নেয়অপরাপর সব রাত।

Advertisement

অন্ধকারচারটি অন্ধ দেয়াল অন্ধকার ঘিরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।মৃত ভেবে ওরা আমায় এইখানে নামিয়ে দিয়ে গেছে।ওরা কি জীবনের দিকে গেছে?

এইচআর/পিআর