অর্থনীতি

ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

ব্যাংকিং খাত দেশের অর্থনীতির বড় শক্তি উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আমরা ব্যাংক সম্পর্কে খবরের কাগজে অনেক কিছুই পড়ি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে ব্যাংকিং খাত সুচারুরূপে পরিচালিত হতে পারে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থসূচক এ এক্সপোর আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এক সময় পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকগুলো ব্যাপক মুনাফা করেছে। আমরা শুনি অমুক ব্যাংক এতোশ’ কোটি টাকা লাভ করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি…। কিন্তু এটাও ঠিক যে ক্যাপিটাল মার্কেটে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আমরা এ আর্তনাদ, হাহাকার শুনি না।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে আমি বলবো ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ একটি দেশের অর্থনীতির বড় শক্তি ব্যাংক। আমরা খবরের কাগজে অনেক কিছু পড়ি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে ব্যাংকিং খাত সুচারুরূপে পরিচালিত হতে পারে সেদিকে নজরে দিতে হবে।

Advertisement

সাংবাদিকের সততার সঙ্গে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল বলেন, আপনাদের একটি সংবাদের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। ক্যাপিটাল মার্কেটে একজন ভালো ব্যবসায়ী আসলেন, আমরা যেন আবার সুযোগ-সুবিধা চেয়ে সেই কোম্পানিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করি। এদিকেও সাংবাদিকদের খেয়াল রাখতে হবে।

অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদিক, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান প্রমুখ।

বিএসইসির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, এখন পুঁজিবাজার স্থিতিশীল। সূচক, লেনদেন ঊর্ধ্বমুখী। বিনিয়োগকারীরাও সচেতন হয়েছেন। এখন আর কেউ মতিঝিলের রাস্তায় নেমে মিছিল করেন না।

Advertisement

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের কাট অফ প্রাইজ নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইস্যুয়ার এবং কোম্পানি যাতে ফেয়ার প্রাইজ পেতে পারে তার সুযোগ দেয়া হয়। যদি যোগসাজশে কাট অফ প্রাইজ নির্ধারণ করা হয়, তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আমরা চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করায় আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

এমএএস/এএইচ/আইআই