বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘বিএনপি সংসদে নেই। তাই দুঃখজনক ঘটনা হলেও বিএনপি অন্তর্বর্তীনকালীন সরকারে থাকতে পারবে না।’
Advertisement
সোমবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অন্যান্য কমিশনারসহ ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। এরশাদের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
বিএনপি বড় দল কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে ‘জানি না’ উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, যেহেতু যারা সংসদে আছে সেসব দল নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে। বিএনপি সংসদে নেই। তাই দুঃখজনক ঘটনা হলেও বিএনপি থাকতে পারবে না। বৃহৎ দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচনে আসবে বলে আমি আশা করি। বৃহৎ দল কিনা বলতে পারি না। বৃহৎ দল অন্যরাও হতে পারে। আমরাও হতে পারি। এজন্য এটা বলতে পারব না। তবে সেটা জনগণ ঠিক করবে।’
তিনি বলেন, ওনারা (নির্বাচন কমিশনার) দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যাতে নির্বাচনটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, আমি উনাদের কথা বিশ্বাস করি। মনে প্রাণে আল্লাহর কাছে দোয়া চাই, তাদের আশ্বাস যেন আল্লাহ পূরণ করেন। এরশাদ আরও বলেন, পাবলিক পারসেফশন হলো, সেনাবাহিনী যদি মোতায়েন করা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা তাই বলেছি, যেহেতু জনগণ চাচ্ছে তাই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হোক।
Advertisement
বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকতে পারবে কিনা এবং বিএনপি না থাকলে তাদের ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় যারা সংসদে থাকেন তাদের নিয়ে। তারা সংসদে নেই। যেহেতু তারা (বিএনপি) নেই, এজন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় ইসির সদিচ্ছা আছে এবং ওনাদের নাম ওনারা ইতিহাসের পাতায় লিখে যেতে চান। আবারও কি বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন এক পক্ষের হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি করে বলব? বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা সেটা বলতে পারব না। আমি তো আর আল্লাহ না।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কোথাও সমর্থন পাইনি। চীন, রাশিয়া এমনকি বন্ধু দেশ ভারতও আমাদের সমর্থন দেয়নি। আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আশা করি তাদের পুনর্বাসন করতে আমরা সক্ষম হব।
সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব রহুল আমীন হাওলাদার এমপি, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, কাজী ফিরোজ রশীদ, দলটির কো-চেয়ারম্যান সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের, দলটির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সালমা ইসলাম এমপি প্রমুখ।
Advertisement
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় এই বৈঠক হয়। ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। ২৪ আগস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু হয়েছে। এর আগে ২৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করে ইসি।
এইচএস/ওআর/আরআইপি