আইন-আদালত

স্বাধীনতা যুদ্ধে শিল্পীরাও জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে যে রকম যুদ্ধ করেছে তেমনি গায়ক শিল্পীরা, নাট্যকাররাও অনুপ্রাণিত করেছে জাতিকে। তারা গান গেয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব শিল্পী গান গেয়ে জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন জাতীয়ভাবে সেসব শিল্পীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধের সময় আমরা ভারতে ট্রেনিংয়ের জন্য গিয়েছিলাম। তখন আমরা নিরাপদ ছিলাম। কিন্তু সাড়ে সাত কোটি বাঙালি যারা দেশে ছিলেন তারা ছিলেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। কারণ কখন তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, হামলা হয় সেটা তারা জানতেন না। এক ঘণ্টার নিশ্চয়তাও ছিল না।

Advertisement

মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনা এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহত্যকে সমুন্নত রাখতে শিল্পীদের ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ আইয়ুব খান রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করেছিল। তিনি জানতেন আমাদের বাঙালির সংস্কৃতি ছিল সমৃদ্ধ। এটাকে ধংস করার জন্য আইয়ুক খান রবীন্দ্র সংগীতকে নিষিদ্ধ করেছিল। এর বিরুদ্ধে জাতি সোচ্চার হয়েছিল। সংস্কৃতি অঙ্গনের লোকেরাও। সেই সোচ্চার এক পর্যায়ে স্বাধীনতার দাবিতেও অনেক ভূমিকা রেখেছিল।

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আতউল্লা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনএ জোটের নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাডক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার প্রমুখ।

এফএইচ/বিএ

Advertisement