ধর্ম

হজের প্রকার ও পরিচয় জেনে নিন

চলছে হজের মাস। আল্লাহ তাআলা হজের মাস হিসেবে শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজকে নির্ধারণ করেছেন। হজ উপলক্ষে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় যেতে শুরু করেছে মুসলিম উম্মাহ। হজ উপলক্ষে যারা বাইতুল্লাহর উদ্দেশে গমন করবেন তারা হলেন ‘আল্লাহর মেহমান’।

Advertisement

‘আল্লাহর মেহমান’ হাজিরা কোনো হজ আদায় করবেন। হজের প্রকারগুলো কি? তা জানা সবার জন্য খুবই জরুরি। সংক্ষেপে হজের প্রকার ও পরিচয়গুলো তুলে ধরা হলো-

হজের প্রকার ও পরিচয়

হজ তিন প্রকার। ইফরাদ, কিরান, তামাত্তু।

Advertisement

>> হজের মাসে শুধুমাত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে হজ সম্পাদন করাকে ‘হজে ইফরাদ’ বলা হয়।

>> হজের মাসগুলোতে (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ) হজ ও ওমরা পালনের নিয়তে দীর্ঘ দিনের জন্য ইহরাম বেঁধে ওমরা ও হজ সম্পাদন করাকে ‘হজে কিরান’ বলে।

>> হজের মাসগুলোতে (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ) ওমরা পালনের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরা পালন করবে। ওমরা পালন করে তা থেকে হালাল হয়ে যাবে। অতঃপর হজের আগে হজের নিয়তে ইহরাম বেধে হজ সম্পাদন করাকে ‘হজে তামাত্তু’ বলে।

উল্লেখ্য যে-

Advertisement

হজের প্রকারগুলোর মধ্যে ‘কিরান’ সর্বোত্তম হজ। যা সম্পাদন করা অনেক কষ্টকর। কারণ দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকতে হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিদায় হজ ছিল ‘কিরান হজ’।

তবে অধিকাংশ হাজি ‘হজে তামাত্তু’ পালন করে থাকে। তামাত্তু হজ পালনে যেমন সুবিধা তেমনি তুলনামূলকভাবে এ হজ পালনে কষ্টও কম। কারণ তামাত্তু’তে প্রথমেই ওমরা পালন করে হালাল হওয়া যায় এবং হজের আগ মুহূর্তে হজের জন্য নতুন করে ইহরাম বেধে হজ সম্পন্ন করতে হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর হজ পালনেচ্ছু প্রত্যেককেই সামর্থ অনুযায়ী উল্লেখিত বিভাগগুলো থেকে যে কোন হজ পালন করে নিষ্পাপ মাছুম হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর