জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ জুলাই-নভেম্বরে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মধ্য জুলাই বা জুলাইয়ের শেষের দিকে সংলাপ শুরু করতে চাই। তারপর সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে সংলাপ সম্পন্ন করা হবে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসি এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত রোডম্যাপ নিয়ে প্রথম দফা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমরা খসড়া নিয়ে বসেছি; চূড়ান্ত হতে আরও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। এরপরই আমরা প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত দলগুলোসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একবাই সংলাপ করব। সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র, ইসির সক্ষমতা বাড়ানো ও সবার জন্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি- এ সাত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

Advertisement

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদের ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডিসেম্বরের শেষার্ধ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের জন্য উপযুক্ত সময়। কমিশন আমরা নিজেরা বসে ভোটের তারিখ দেব।

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের বিশ্বস্ততা না পেলে আমরা কোনোভাবেই ইভিএম ব্যবহারে যাব না। তবে ইভিএমকে আমরা সামনে রাখতে চাই। এর প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো সবার কাছে উপস্থাপন করা হবে। তবে আমাদের উপস্থাপনার পর দলগুলো একমত না হলে তা জোর করে ব্যবহার করবো না। এ বিষয়ে আমরা কোনো রিস্ক নেব না।

এইচএস/বিএ

Advertisement