শপথ করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নামে। এটাই নিয়ম। কিন্তু আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে কিছু বিষয়ে কয়েকটি কাজে আল্লাহ তাআলার নামে শপথ করার জন্য নিষেধ করেছেন। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা এ বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-
Advertisement
আয়াতের অনুবাদ
আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণসুরা বাকারার ২২৪ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলার নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, কোন কোন বিষয়ে শপথ করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা মানুষের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘রাগের বশে এ ধরণের কসম কর না যে, আমি মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার-আচরণ করব না; আল্লাহকে ভয় করব না; মানুষের মাঝে শান্তি প্রদানে মীমাংসা করব না ইত্যাদি।
Advertisement
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং তাঁর ভগ্নিপতি আনছারি সাহাবি হজরত বশির ইবনে নোমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মাঝে এমন কিছু ঘটে যায়, যে জন্য হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রাদিয়াল্লাহু আনহু কসম করলেন, ‘বশিরের কাছে কখনও যাবো না, তাঁর সঙ্গে কথা বলবো না এবং তাঁর বিরোধিতাকারীদের মধ্যে কখনও মীমাংসা করবো না।’
এরপর থেকে বশির ইবনে নোমান রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে কোন কিছু আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে কোনো কিছু ব্যক্ত করলে তিনি জবাবে বলতেন, ‘আমি তাঁর জন্যে কোনো কিছু না করার ব্যাপারের আল্লাহর কসম করেছি। তাই কসম থেকে মুক্ত না হয়ে কোনো কিছু করা আমার জন্য বৈধ হবে না।’ তখন এ আয়াত নাজিল হয়।
আরবের জাহেলি যুগের একিট রীতি ছিল এ রকম যে, শপথ করে বলতো আমরা অমুক নেক কাজ, পরহেজগারির কাজ বা সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করব না। এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলতো, আমরা এ সব কাজ না করার ব্যাপারে শপথ করেছি।
তাছাড়া নেক কাজ করা, পরহেজগারি অবলম্বন করা এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করা এমনিতেই কল্যাণের। তা পরিহার করা দুষণীয়। তথাপিও তারা আল্লাহর নামে শপথ করে এ সব ভালো কাজ বর্জন করার নামে আল্লাহর নামকে হেয় প্রতিপন্ন করতো। তাদের উক্ত ভ্রান্ত রীতি নিষিদ্ধ করতেই আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন।
Advertisement
পড়ুন- সুরা বাকারার ২২৩ নং আয়াত
পরিষেশে...আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনে ঘোষিত বিধি-বিধানগুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে কসম করার ব্যাপারে উল্লেখিত বিষয়ে আল্লাহর নামে কসম করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। তাকওয়া অবলম্বন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ ও পরোপকার করে পরকালের স্থায়ী জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস