কলম্বোতে আগামীকাল আমরা শততম টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামছি। এ ম্যাচ নিয়ে শুধু খেলোয়াড়রা নয়, আমরাও উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত। তবে কালকের ম্যাচে কোনোভাবেই এ নিয়ে আলাদা করে ভাবা যাবে না। আট-দশটা ম্যাচের মতো ভেবে স্বাভাবিক খেলতে হবে। তা না হলে বাড়তি চাপে পড়ে যেতে পারি আমরা। স্বাভাবিক খেললেই ভালো ফলাফল পাবো বলে আমার বিশ্বাস।এ মাঠে আমাদের আগের ফল ভালো নয়। তবে আগে কি হয়েছে এটাও ভাবা যাবে না। তা আগের টেস্টেই আমরা দেখেছি। গলে আগে আমাদের ড্র ছিল, ব্যক্তিগত অনেক মাইলফলক ছিল তারপরও এবার আমরা হেরেছি। তাই আমার মতে স্বাভাবিকভাবে খেলতে নামাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।আর গল টেস্টের স্মৃতিও মুছে ফেলতে হবে। আগে কি হয়েছে তা ভেবে দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই। ওই ম্যাচে আমাদের খেলোয়াড়রা তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি। আমি বিশ্বাস করি এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলার সামর্থ্য আমাদের ক্রিকেটারদের আছে। হয়তো ওইদিন আমাদের হয়নি। কালই তা হতে পারে।তবে একটা দিকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা একটু বেশি আক্রমণাত্মক থাকে। তাই শট সিলেকশনে আরেকটু মনযোগী হতে হবে। কারণ রাতারাতি তো আর এ আগ্রাসী মনোভাব বদলে ফেলতে পারবে না। তাই একটু ধৈর্য ধরে বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। একজন বোলার যত ভালো বলই করুক একটা দুইটা বাজে বল হয়ে যায়ই।বরাবরের মতো এ টেস্টেও আমরা মুশফিকের দিকে তাকিয়ে আছি। তবে দায়িত্ব ওকে একা নিলে হবে না। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা সবাইকে কম-বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। দল হিসেবে খেলতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা যে উইকেটে থাকবে তাকে বড় ইনিংস খেলতে হবে। পঞ্চাশ করলে তাকে একশ, একশ করলে তাকে দেড়শ, দেড়শ করে তাকে দুইশ বানাতে হবে।আরেকটা ব্যাপার এমনিতেই আমাদের দলটা তরুণ তার ওপর মাহমুদউল্লাহ থাকছেন না কাল। ইমরুল খেললে অভিজ্ঞতার সে ঘাটতি থাকছে না। তবে টেস্টের আগেই আমাদের একটা দুর্ভাগ্য লিটনের ইনজুরি। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত কিপিং করেছিল ও। মুশফিকের ওপর আমার আস্থা আছে। লিটনের জায়গায় হয়তো সাব্বিরই খেলবে। ও একটু আগ্রাসী মেজাজে খেলে। সাকিব-তামিমকে নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই। তারা অনেক টেস্ট খেলেছে। তারা জানে তাদের কাজটা কি। তারপরও আমি চাইবো একটু বাড়তি দায়িত্ব যেন তারা নেয়।আমাদের বোলাররা একেবারেই তরুণ। সাকিব ছাড়া আর সবার ৪/৫টা করে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাই সাকিবকে একটু বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। তার ওপর কলম্বোর এ উইকেট স্পিনারদের সহায়তা করে। কাল দলে হয়তো একজন পেসার কমিয়ে তাইজুলকে নেওয়া হতে পারে। তাহলে আমাদের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য বাড়বে। তবে বোলারদের ভালো করার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। হাফ চান্সগুলো কাজে লাগাতে হবে। মিস তো করাই যাবে না।আশা করি এ টেস্টে দারুণ একটা কিছু করেই স্মরণীয় করে রাখবেন মুশফিকরা। হয়তো সেটা জয়ই। দলের সবাই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো ফলাফল সম্ভব।আরটি/এনইউ/এমএস
Advertisement