সংযুক্ত আরব আমিরাতে শিগগিরই কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। বুধবার জাতীয় সংসদে বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের (মহিলা আসন-৪৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গত ১৭ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। সে সময় তারা দ্বিপাক্ষিক শ্রমবাজার উন্মুক্তের আশ্বাস দিয়েছে। আশা করা যায় শিগগিরই তা শুরু হবে।তিনি আরও বলেন, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলসহ মোট ৫০টি নতুন শ্রমবাজার সম্পর্কে গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুনভাবে রাশিয়া ও থাইল্যান্ডে কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ চলছে।মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের সফল শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে ২০০৮ সালে বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে পুনরায় চালু হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার সঙ্গে জি টু জি প্লাস নামে আরও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় কর্মী পাঠানোর বিষয়টি বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।সামশুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউরোপে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেশি। বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে ইউরোপের কয়েকটি দেশে দক্ষ কর্মী পাঠানো হচ্ছে।মো. শওকত চৌধুরীর (লীলফামারী-৪) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বের ১৬২টি দেশে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশী কর্মরত আছে। বিদেশে যেসব কর্মী অবৈধ আছে তাদের সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে বৈধকরণ, আইনি সহায়তা এবং দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।বর্তমান সরকারের সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সৌদি আরবে প্রায় ৮ লাখ, মালয়েশিয়ায় ২ লাখ এবং ইরাকে ১০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকের বৈধতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement