একুশে বইমেলা

লাখো প্রাণের উচ্ছ্বাস বইমেলায়

মেলা শুরু শিশুদের হৈ-হুল্লোড়ে। তৃতীয় দিন শুক্রবার ছিল শিশু প্রহর। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কোমলমতি শিশুদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে বাংলা একাডেমি চত্ত্বর। দুপুর গড়িয়ে বিকেল।শিশু প্রহর কেটে গেছে। তবে কাটেনি প্রাণের উচ্ছ্বাস। ছুটির দিন দুপুরের পর থেকেই জমে উঠেছে একুশে বইমেলা। হাজার হাজার দর্শনার্থী আর পাঠকের পদচারণায় যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় প্রবেশের দীর্ঘ লাইন। সময় যত গড়ায় লাইন তত দীর্ঘ হতে থাকে। তবু যেন ধৈর্য্চ্যুতি ঘটছে না কারোরই। লাইনে দাঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করছেন দর্শনার্থীরা। এ উল্লাস যেন প্রাণে প্রাণ মেলানোর। যেন নতুন বইয়ের গন্ধ নেয়ার।উদ্ধোধনের দিন পাঠকের কমতি ছিল মেলায়। দ্বিতীয় দিনেও তেমন জমে উঠেনি। তৃতীয় দিন শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার চিত্র পাল্টে যায়। বন্ধু, বন্ধুর হাতে হাত রেখে, স্বজন, স্বজনের হাতে হাত রেখে ঘুরে ফিরছে মেলার প্রতিটি স্টল। অন্যদিকে সকালে আসা শিশু দর্শনার্থীরাও চাইছে না ঘরে ফিরতে । শিশুরা অভিভাবকদের হাতে ভর করে চষে বেড়াচ্ছে মেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।সময় প্রকাশনীর ফরিদ আহমেদ বলেন, ছুটির দিন মেলা নিয়ে আমাদের বাড়তি প্রস্তুতি থাকে। এর কারণ হচ্ছে, অন্য দিনের চাইতে ছুটির দিনে পাঠক-দর্শকের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যায়। আজও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে শুরুর দিকে বই কিছুটা কম বিক্রি হবে এটিও আমাদের অজানা নয়। যে পরিমাণ দর্শক মেলায় এসেছে, সেই তুলনায় বই বিক্রি হয়নি। কথা হয় ইডেন কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া নাজনীনের সঙ্গে। বলেন, ছুটির দিনে মেলায় আসার মজাই আলাদা। বইমেলায় আসা দর্শকরাও সৃজনশীল। এমন মানুষদের সঙ্গে আড্ডা বা কথা বলতে পারলেও ভালো লাগে। মূলত মেলায় আসার আরেকটি কারণ হচ্ছে, লেখক-সাহিত্যিকদের দেখা পাওয়া। ছুটির দিনে ঘুরে ঘুরে বই কেনারও আনন্দ রয়েছে। এএসএস/ওআর/এমএস

Advertisement