বিশেষ প্রতিবেদন

জেএসসি-জেডিসি ফলে অসন্তুষ্ট ৬৪ হাজার পরীক্ষার্থী

২০১৬ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলে অসন্তুষ্ট প্রায় ৬৪ হাজার পরীক্ষার্থী। বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত ২৯ ডিসেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১ থেকে ৭ জানুয়ারি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয়। কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে দেশের আটটি শিক্ষাবোর্ডে ৬৩ হাজার ৯৮৭ পরীক্ষার্থী আবেদন করে।  বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা দেয়ার আবেদন পড়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৩টি। ঢাকা বোর্ডে ফল আপত্তিকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ। এ বোর্ডে ২৬ হাজার ৮৭৬ জন অভিযোগকারী মোট ৬০ হাজার ৩৭টি বিষয়ে আবেদন করেছে। তবে গত বছর ঢাকা বোর্ডে বিষয়ভিত্তিক আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৫৫ হাজারের কম। প্রতি বছর এ বোর্ডে অসন্তোষের আবেদন বেড়েই চলছে।ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ইংরেজি বিষয়ে ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদন পড়েছে ১০ হাজার। পরের অবস্থানে রয়েছে বিজ্ঞান। যার সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। বাংলায় ৫ হাজার, গণিতে ৪ হাজারসহ অন্যান্য বিষয়ে ফল পুনর্নিরীক্ষণে আবেদন করা হয়। ২৮ জানুয়ারি পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ফল নিয়ে অভিযোগকারী মনিপুর স্কুলের শিক্ষার্থী শান্তা ইসলাম জানায়, কাঙ্ক্ষিত ফল পাইনি বলেই আবেদন করেছি। সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়িত হয়নি, তাই জিপিএ-৫ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। পুনর্নিরীক্ষার আবেদনে খাতা যেন সঠিকভাবে মূল্যায়ন হয় সেই আশায় বুক বেঁধেছে সে।   এ প্রসঙ্গে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তপন কুমার জাগো নিউজকে বলেন, জেএসসির ফল প্রকাশের পর যাদের মধ্যে অসন্তোষ থাকে তারা মূলত পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে। এর মাধ্যমে শুধু নম্বরগুলো ঠিক আছে কিনা তা গণনা করে দেখা হয়।নতুনভাবে খাতা মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার পাসের হারের পাশাপাশি পুনর্নিরীক্ষার আবেদন বেড়েছে। টেলিটকের মাধ্যমে ফি দিয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন গৃহীত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী খাতা পুনর্মূল্যায়ন করে ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। উল্লেখ্য, এ বছর ৮টি সাধারণ ও মাদরাসা বোর্ডের আওতায় ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২১ লাখ ৮৩ হজার ৯৭৫ জন। পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন। অন্যদিকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৪ জন অকৃতকার্য হয়। এমএইচএম/জেএইচ/এএইচ/এমএস

Advertisement