ধর্ম

কুরবানির চামড়ার বিধান

আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম কুরবানি। কুরবানির গোশত, রক্ত, হাড় কোনো কিছুই আল্লাহর নিকট পৌছায় না; বান্দার নিয়তই পৌছে আল্লাহ তাআলার নিকট। কুরবানি দাতা এর গোশত নিজে খাবে; পাড়া-প্রতিবেশিকে দিবে; আত্মীয়-স্বজনকে দিবে এবং গরিব-দুঃখীর মাঝে বিতরণ করবে। এমনকি কুরবানির গোশত অমুসলিমকেও দেয়া বৈধ। আর কুরবানির পশুর চামড়া ফেলে দেয়ার জিনিস নয়। কুরবানির চামড়া ব্যবহার করা যাবে আবার দানও করা যাবে। এ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-চামড়ার বিধানইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে কুরবানির চামড়া দান করা উত্তম। তবে কুরবানি দাতা যদি চামড়া ব্যবহার করতে চায়, তবে সে তা ব্যবহার করতে পারবে। তাতে কোনো নিষেধ নাই।আর যদি দান করতে চায় বা বিক্রি করে দেয়, তবে তা গরিব, ইয়াতিম, অসহায়দের দিতে হবে। কুরবানি দাতা নিজে চামড়ার মূল্য খরচ করতে পারবে না।যারা জাকাত, ফিতরা পাওয়ার উপযুক্ত তারাই কুরবানির চামড়ার অর্থ পাওয়ার হকদার। তবে এক্ষেত্রে ইয়াতিম, গরিব তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া যাবে।তালিবুল ইলম তথা ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী যদি ইয়াতিম বা গরিব হয় তবে তাকে জাকাত, ফিতরা ও কুরবানির চামড়ার মূল্য প্রদাণে অত্যাধিক ফজিলত রয়েছে।কুরবানীর চামড়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ তোমরা কুরবানির পশুর চামড়া দ্বারা উপকৃত হও; তবে বিক্রি করে দিও না।’হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আমি যেন কুরবানির মজুরি বাবদ গোশত বা চামড়া থেকে কসাইকে কোনো কিছু প্রদান না করি।’এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, যে ব্যক্তি কুরবানি করবে, সে কুরবানির চামড়া বা গোশত বিক্রি করে তার মূল্য নিজের কাজেও লাগাতে পারবে না এবং চামড়া ও গোশত দিয়ে কসাই’র মজুরিও দিতে পারবে না।কুরবানির চামড়াকে চামড়ার আকারে রেখে প্রক্রিয়াজাত করে কুরবানি দাতা তা ব্যবহার করতে পারবে। ইচ্ছা করলে প্রিয়জনকে তা উপহার হিসেবেও দিতে পারবে; আবার ইচ্ছা করলে তা সাদকাও করতে পারবে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল কুরবানি দাতাকে চামড়ার বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থ ইয়াতিম, গরিব, মিসকিন ও ইলমে দ্বীনের গরিব শিক্ষার্থীকে দান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement