ফিচার

ভবিষ্যতে রাজপথ কাঁপাবে এমন ১০ উদ্ভাবনী গাড়ি

ভবিষ্যতে রাজপথ কাঁপাবে এমন কিছু গাড়ির কথা ভাবছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যতে এ গাড়িগুলোই দাপিয়ে বেড়াবে রাজপথ। এক প্রতিবেদনে বেশ কিছু উদ্ভাবনী গাড়ির কথা জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। দেখে নিন সেসব চমকপ্রদ গাড়িগুলো।১. টেসলাব্যাটারিচালিত গাড়িও যে রাস্তায় নির্ঝঞ্ঝাটে চলতে পারবে, এ ধারণাটি আগে ছিল না। মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা তাদের অসাধারণ গাড়ি শুধু তৈরিই করেনি, রাস্তায় চালিয়ে বিষয়টি প্রমাণ করে দিয়েছে। টেসলার এ বৈদ্যুতিক গাড়ি এতই উন্নত যে তার পারফর্মেন্স যেমন অন্যান্য গাড়ির তুলনায় ভালো তেমন এ গাড়ির জ্বালানী খরচও অন্যান্য গাড়ির তুলনায় কম। ধোঁয়া উদগীরণ না হওয়ায় বিদ্যুৎচালিত গাড়িকে এখন বহু দেশই উৎসাহিত করছে। টেসলার এ গাড়ি বাজারে আনার আগ পর্যন্ত বাজারে প্রচলিত বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো একবার চার্জ করলে সর্বোচ্চ প্রায় ১০০ মাইল পর্যন্ত চলত। এতে অনেকেই এ ধরনের গাড়ি কিনতে আগ্রহী ছিল না। কারণ মাঝপথে চার্জ ফুরিয়ে গেলে গাড়ি নিয়ে বিপদে পড়তে হতে পারে। তবে টেসলা সে দুশ্চিন্তা দূর করেছে। তাদের মডেল এস গাড়িটি একবার চার্জ করলে প্রায় ৫০৭ কিলোমিটার চলতে পারে। ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য এটি একটি মাইলস্টোন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলচালিত গাড়ি ইন্টারনাল কমবাস্টন ইঞ্জিন ব্যবহার করে। তবে এ প্রযুক্তি ক্রমে পুরনো প্রযুক্তিতে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে টেসলার মতো ব্যাটারি বা বিদ্যুৎচালিত গাড়ি জ্বালানী সাশ্রয়ী হওয়ায় তা ভবিষ্যতে আরও প্রসার লাভ করবে। ২. মার্সিডিজমার্সিডিজের অদ্ভুত দর্শন গাড়িটি মূলত একটি বিদ্যুৎ বা ব্যাটারিচালিত গাড়ি। আর এ গাড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন স্থানে পার্সেল ডেলিভারি করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এ গাড়িটি নির্মাণে ৫৬২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে মার্সিডিস। এখনও কনসেপ্ট পর্যায়ে রয়েছে এ গাড়ি। তবে জানা গেছে, এ গাড়িটির সঙ্গে থাকছে একটি ড্রোনও। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পার্সেল ডেলিভারি করার জন্য এ গাড়ির সেই ড্রোনটিকেও ব্যবহার করা হবে। এটি যখন পার্সেল প্রাপকের কাছাকাছি আসবে তখন গাড়ির ছাদ থেকে পার্সেলটি নিয়ে উড়ে গিয়ে প্রাপকের বাড়িতে তা দিয়ে আসবে। ৩. এইচ২ইতালিয়ান নির্মাতাদের এ গাড়িটির কনসেপ্ট প্রকাশিত হয় গত মার্চে। আর আগামী বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এটি বাজারে আসতে পারে। এ গাড়িটি চলে হাইড্রোজেন শক্তিতে। মূলত হাইড্রোজেনকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় এরপর সে বিদ্যুৎ দিয়ে মোটর চালানো হয়। এ গাড়িটির গতি ৩.৪ সেকেন্ডে ০ থেকে ৬০-এ পৌঁছাতে পারে। এছাড়া এর সর্বোচ্চ গতি ১৮৬ মাইল/ঘণ্টা। তবে এ গাড়ির জন্য জ্বালানী সংগ্রহ করা এখনও বড় সমস্যা। ৪. ইউনাইটেড নুডগাড়ি বলতে যে একটি সাধারণ দৃশ্য কল্পনায় আসে, সে বিষয়টিকেই পাল্টে দিচ্ছে এ গাড়ি। অনেকেই গাড়িটির চেহারা স্পেসশিপের সঙ্গেই মিল আছে বলে মনে করছেন। এ গাড়িটিও বিদ্যুৎ শক্তিতে চলে। এর কোনো দরজা নেই। কেউ গাড়ি থেকে উঠতে কিংবা নামতে চাইলে বডিটি উঁচু করতে হয়। ৫. মিনি ভিশন গাড়ি থেকে নামার জন্য দরজা খুলতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন রাস্তার নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে। কিন্তু এ গাড়িটি সে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পেরেছে উদ্ভাবনী দরজা দিয়ে। এছাড়া গাড়িটির নকশাও অসাধারণ। ৬. মার্সিডিজ মেব্যাচবিভিন্ন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের আকর্ষণীয় গাড়ির কনসেপ্ট নির্মাণ করছে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। এ তালিকায় পিছিয়ে নেই জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ। তাদের একটি কনসেপ্ট মডেলের নাম মেব্যাচ। এর বডি যেন সম্পূর্ণ একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে। এছাড়া গাড়িটির অন্যান্য বিষয়ও যেন ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তৈরি। ৭. রোলস রয়েস ভিশন ১০০অসাধারণ কনসেপ্ট কার বলতে গেলে এ তালিকায় রাখতে হবে রোলস রয়েস ভিশন ১০০। এ গাড়িটি যেন ভবিষ্যতের একটি উদাহরণ। এ গাড়ির কোনো চালক প্রয়োজন হবে না। এর ভেতর রয়েছে দুই আসন, যা সোফার মতোই। এছাড়া রয়েছে ওএলইডি টিভি ও অন্যান্য বিনোদন উপকরণ। ৮. লেক্সাস ইউএক্সলেক্সাসের কনসেপ্ট কারের কয়েকটি ছবি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এ গাড়ির সাইড মিররগুলো আয়নার বদলে ক্যামেরা ডিসপ্লে বসানো হয়েছে। ৯. টয়োটাটয়োটা সম্প্রতি বানিয়েছে কাঠের গাড়ি। এ গাড়িটি হাতে তৈরি ৮৬টি প্যানেল জোড়া দিয়ে তৈরি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গাড়িটি চলতে পারে। অতীত ঐতিহ্যকে স্মরণ করতেই এ গাড়ি তৈরি করেছে টয়োটা। গাড়ির জগতে এ গাড়িটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১০. বিএমডব্লিউ ভিশন নেক্সটবিএমডব্লিউয়ের এ গাড়িটিতে অসংখ্য উদ্ভাবনী ফিচার সংযুক্ত হয়েছে। এ গাড়ির চাকা থেকে শুরু করে প্রায় সব যন্ত্রাংশেই রয়েছে অভিনবত্ব। সম্পূর্ণ গাড়িটি যেন একটি শিল্পকর্ম, যা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।টিটিএন/এমএস

Advertisement