বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। চীনের সঙ্গে বর্তমানে বাণিজ্য ঘাটতি ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার। এই ঘাটতি কমিয়ে আনতে তিনটি প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই প্রস্তাবে উভয় দেশই ঐকমত্য হয়েছে।সোমবার বাংলাদেশ-চীন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের ১৪তম সভায় দুই দেশ এই ঐকমত্যে আসে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভা শেষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এসব তথ্য জানান। এসময় ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আসিফ উজ জামান উপস্থিত ছিলেন।মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে তিনটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শুল্কমুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকার, চীনে বাংলাদেশি পণ্য প্রচার ও বাংলাদেশ উৎপাদিত চীনা বিনিয়োগকারীদের পণ্য পুনঃরফতানির সুযোগ। এই তিন প্রস্তাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্যের প্রসার ও প্রচার রোড শো, বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন সভা সেমিনার করতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে চীন প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া শুল্কমুক্ত পণ্য প্রবেশাধিকারে তারা দ্রুত উদ্যোগ নেবে।তিনি জানান, এই সভায় বিনিয়োগের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সাথে সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করবে। এতে আমাদের ঋণনির্ভরতা কমে আসবে বলে জানান তিনি।তৈরি পোশাক খাতে চীনা বিনিয়োগে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীনের এই আগ্রহকে আমরা স্বাগত জানাই। গাজীপুরে অ্যাপারেল জোন নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে তারা সহজে বিনিয়োগ করতে পারবে।উল্লেখ্য, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৬৮০ কোটি ডলার এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ চীন থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, টেক্সটাইল পণ্য, সয়াবিন তেল, পামওয়েল, টায়ার, সার, গম ও লৌহ এবং ইস্পাত। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে চীন আমদানি করে যেসব পণ্য তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চা, চামড়া এবং মৎস্য।এমএ/এসএইচএস/পিআর
Advertisement