রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেফতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের চারটি চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি নতুন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
Advertisement
বুধবার (৩০জুলাই) রাজধানীর মিন্টুরোডে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তালেবুর রহমান বলেন, সম্প্রতি গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের একজন রিয়াদের বাসা থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের চারটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি পৃথক মামলা রজু প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে গত সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে রিয়াদের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যমানের চারটি চেক উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে প্রায় ২০ লাখ টাকার এফডিআর নথি উদ্ধার করে পুলিশ।
Advertisement
আরও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের তোপের মুখে বৈষম্যবিরোধী ৪ নেতাগত ২৬ জুলাই রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদা আনতে গিয়ে গ্রেফতার হন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাসহ পাঁচজন। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। সিদ্দিক আবু জাফরের করা মামলায় রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও শিশু আমিনুল ইসলাম।
এদিকে, থানায় মামলা হলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। একইসঙ্গে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আরেকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই চারজন পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।
তারা হলেন, আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
Advertisement
অন্যদিকে, সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কেআর/এসএনআর/এমএস