বাংলাদেশে দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে মানবপাচার। পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। মূলহোতাদের অধিকাংশই থাকেন দেশের বাইরে। দেশে থাকা দালালের মাধ্যমে পরিচালনা করেন কাজ।
Advertisement
পাচার হওয়া ভুক্তভোগীরা অসচেতনতা কিংবা প্রমাণের অভাবে মামলা করলেও পাচ্ছেন না বিচার। আবার বিদেশে থাকায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনাও কঠিন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
হবিগঞ্জের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম (২৮)। পরিবারের হাল ধরতে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দালালের প্রলোভনে মালয়েশিয়া যান। একমাস পর সেখান থেকে পাচারচক্র তাকে ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যায়। সেখানে তিন মাস আটকে রেখে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয় ১৮ লাখ টাকা। এরপর সমুদ্রপথে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিসমাস দ্বীপে। সেখানকার নৌবাহিনী তাকে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠায়।
আজিজুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘দালাল আকাশ ও জাহাঙ্গীর আমাদের ১০ লাখ টাকায় অস্ট্রেলিয়া নিয়ে কাজ দেবে বলে চুক্তি করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা নেন, আর কাজ তো দূরের কথা, আমরা নির্যাতনের শিকার হই। দেশে ফিরে মামলা করেছি, কিন্তু আকাশ এখন মালয়েশিয়ায়। ওদের পাসপোর্ট, আইডি সব ভুয়া। এদের ধরাও কঠিন।’
Advertisement
জানা যায়, আজিজুলসহ মোট ৪১ জনকে একইভাবে ইন্দোনেশিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ২৪ জন দেশে ফেরেন। তাদের মধ্যে একজন ইসরাফিল বিমানবন্দর থানায় ২২ জনকে আসামি করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন।
ইসরাফিল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমাদের অনেক প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিন মাস আমাদের আটকে রেখে নির্যাতন করেন। খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো দেয়নি, শুধু বাঁচিয়ে রেখেছে। পরে সমুদ্রে পাঁচদিন ভেসে আমরা ক্রিসমাস দ্বীপে পৌঁছাই, সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়।’
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে বাংলাদেশিরা শীর্ষে। এই রুটে প্রাণহানির ঘটনাও বেশি। লিবিয়ায় বন্দিশালায় নির্যাতন করে পরিবার থেকে টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো পাচারকারীদের ধরতে প্রযুক্তির ব্যবহারেও পিছিয়ে।- ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম) শরিফুল হাসান
মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্ত কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রায় ২৪ জন। আসামিদের মধ্যে কেবল জাহাঙ্গীর গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি কিছুই স্বীকার করছেন না। তবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বিদেশে যারা আছেন, তাদের ধরতে পারাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আসামির জামিনের আশঙ্কায় ভুক্তভোগীরা এখন পর্যন্ত সাতটি মামলা করেছেন।’
ঝুলে আছে ৪ হাজার ৩৬০ মামলামানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে ২০১২ সালে সরকার আইন করার পর থেকে মানবপাচার আইনে নিয়মিত মামলা হলেও অধিকাংশ মামলার বিচার শেষ হচ্ছে না। আবার যেগুলোর বিচার শেষ হচ্ছে সেখানে আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন
ইতালি যেতে ৩৮ লাখ টাকা দিয়েও নিখোঁজ মাদারীপুরের যুবক ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন, সাতক্ষীরায় কাঁদছে পরিবার দালালরা হাতিয়েছে ৪৪ লাখ টাকা, বন্দিদশা থেকে বেঁচে ফিরলেন সাগর বাংলাদেশ-ইতালি সমঝোতায় শ্রমবাজারে নতুন দিশাস্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবপাচার মামলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৬০টি মামলা ঝুলে আছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩৪৬টি মামলা এখনো তদন্তাধীন। বিচারাধীন তিন হাজার ১৪টি মামলা। এর আগে ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মামলা হয়েছে ৬৮৩টি। এতে আসামি করা হয় ৩৩ হাজার ৫০৯ জনকে।ঢাকার মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তফা কামাল খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল গঠন হয় ২০২০ সালে, সাক্ষ্য-প্রমাণসহ নানা জটিলতায় একটা মামলা নিষ্পত্তি হতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ বছর। সেজন্য অগ্রগতি কম। বিশেষ করে মূল আসামিরা বিদেশ থাকে প্রায় কেসে। আমাদের ইন্টেলিজেন্স দুর্বল। প্রশাসনিক জটিলতায় এসব মূলহোতাদের ধরা সম্ভব হয় না। আর ভিক্টিমরাও যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেন না। অনেক সময় ভিক্টিমরা মামলা করে আবার অন্য দেশে চলে যান।’
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দালালের শেষ নেই। আজ একজন কে ধরি তো কাল অন্যজন বের হয়। আমরা সারাদেশে দালালচক্রের তালিকাও করেছি। বিদেশে যেসব মানব পাচারকারী রয়েছে, তাদের তালিকাও করছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, ইন্দোনেশিয়ায় বন্দি করে নির্যাতন করে এমন একজন গ্রেফতার আছে। বিদেশে অবস্থানরত কিছু মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, কিন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আসলে যারা ভিক্টিম এরা অনেক সময় হাল ছড়ে দেয়, মামলা করতে চায় না ‘
মানবপাচারের ৩ রুটদেশ থেকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও মিয়ানমারে মানবপাচারের ঘটনা বেশি আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশের জন্য গন্তব্য ইতালি, মালয়েশিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া থেকে থাইল্যান্ড হয়ে মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ার স্ক্যাম সেন্টার।
সবশেষ পাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি থাকা ১৮ বাংলাদেশি গত ১৯ মার্চ দেশে ফেরেন। তাদের একজন লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘উচ্চ বেতনের চাকরির কথা বলে দুবাই থেকে আমাদের ১৮ জনকে নিয়ে যায় থাইল্যান্ড। সেখান থেকে নৌপথে নিয়ে যায় মিয়ানমার। সাত মাস আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়নি। প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরে আসি। আমাদের মিথ্যা প্রলোভন দেখায় দুবাই থাকা দালাল রনি। তিনি দুবাই থেকে এসব কাজ করেন।’
মানবপাচারকারীদের নতুন টার্গেট জলবায়ু দুর্গতরাজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও লবণাক্ততার কারণে বেকারত্বের শিকার সাতক্ষীরার অধিকাংশ যুবক। ২০২৩ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর ও কৈখালী ইউনিয়নের ওপর পরিচালিত অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) এক গবেষণায় দেখা যায়, এ অঞ্চলের ৫৯ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য জীবিকার সন্ধানে গ্রাম ছেড়েছেন। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ অভিবাসী জীবিকার সন্ধানে আন্তর্জাতিক অভিবাসনের পথ বেছে নিয়েছেন। বাকি ৮৬ শতাংশ বাংলাদেশেই অভ্যন্তরীণভাবে পাড়ি জমিয়েছেন বিভিন্ন জেলায়।
আমরা অনেক কেস স্ট্যাডিতে দেখেছি পাচারের শিকারদের অভিযোগ, খাবারের জন্য কান্না করলেও খাবার দেয় না, পাচারকারীরা তাদের নির্যাতন করে। এমনকি অনেক সরকারি কর্মকর্তা পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। ফলে পাচারকারীরা অধরাই থেকে যায়, আর সমস্যা বাড়তেই থাকে।- অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শাকিরুল ইসলাম
বর্তমানে লিবিয়ায় পাচারের শিকার হয়ে অমানবিক নির্যাতনের মধ্যে দিন পার করছেন সাতক্ষীরার তিন যুবক। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টায় লিবিয়ায় গিয়ে স্থানীয় মানবপাচারকারী ও দালালচক্রের হাতে বন্দি হয়েছেন তারা। পাচারকারীরা তাদের নির্যাতন করে সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ চাইছে। দরিদ্র পরিবারগুলো চাহিদামতো মুক্তিপণ না দেওয়ায় প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা। বন্দি তিন যুবক হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের রেজোয়ান ও আবু শহিদ গাজী এবং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের রমজান। উন্নত জীবনের আশায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তারা একই ফ্লাইটে পাঁচটি দেশ ঘুরে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় যান। পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, তারা এখনো লিবিয়ায় পাচারকারীর কাছে বন্দি এবং নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম বলছে, ২৫–৪০ বছর বয়সীরা বেশি পাচারের শিকার হচ্ছেন। মাদারীপুর, শরীয়তপুর, সিলেট, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জসহ ১০ থেকে ১২টি জেলার মানুষ ইউরোপ যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পাচারকারীরা প্রলোভন দেখাচ্ছে। পাচারের শিকার ব্যক্তিরা দেশে ফিরে মামলা করলেও মূল আসামিরা থেকে যাচ্ছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম) শরিফুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে বাংলাদেশিরা শীর্ষে। এই রুটে প্রাণহানির ঘটনাও বেশি। লিবিয়ায় বন্দিশালায় নির্যাতন করে পরিবার থেকে টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো পাচারকারীদের ধরতে প্রযুক্তির ব্যবহারেও পিছিয়ে।’
ভয়াবহ লিবিয়া রুটব্র্যাকের গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা থেকে দুবাই-মিশর, ইস্তাম্বুল-দুবাই, কাতার, অথবা সরাসরি লিবিয়া যাওয়ার পথে ৬৩ শতাংশ মানুষ বন্দি হন। বন্দিদের ৯৩ শতাংশকে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয় এবং ৭৯ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। ৫৪ শতাংশ তিন বেলা খাবার পান না এবং ২২ শতাংশ দিনে মাত্র একবেলা খাবার পান। লিবিয়ায় যেতে যারা চেষ্টা করেছেন তাদের বেশিরভাগই মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বাসিন্দা। স্থানীয় দালালদের প্রলোভনে তারা বাড়ি বিক্রি করে রওয়ানা দিয়েছেন, কিন্তু ৮৯ শতাংশ কোনো কাজ পাননি। বরং নানা ঝুঁকিতে পড়েছেন।
মানবপাচার দমন ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার ফয়সাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘অধিকাংশ সময় আসামিদের সঙ্গে আপস হয়ে যায়। সাক্ষ্য বা প্রমাণ ঠিকমতো না থাকায় রায় দেওয়া যায় না।’
মানবপাচারের শিকার হয়েও মামলা করেন না অনেক ভুক্তভোগীঅভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম ওকাপের চেয়ারম্যান ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শাকিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশ গিয়েও অনেকে পাচারের শিকার হন, কিন্তু তারা আইনি সহায়তা পান না। আমরা অনেক কেস স্ট্যাডিতে দেখেছি পাচারের শিকারদের অভিযোগ, খাবারের জন্য কান্না করলেও খাবার দেয় না, পাচারকারীরা তাদের নির্যাতন করে। এমনকি অনেক সরকারি কর্মকর্তা পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। ফলে পাচারকারীরা অধরাই থেকে যায়, আর সমস্যা বাড়তেই থাকে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবপাচার প্রতিরোধে কঠোর আইন থাকলেও এর প্রয়োগ দুর্বল। পাচারকারীদের ধরতে আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি। এছাড়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক চক্রকে শনাক্ত করা এবং বিচার দ্রুত নিশ্চিত করলে মানবপাচার কমতে পারে।’
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে প্রবাসী কর্মী, প্রবাসীর স্বজন ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অভিযোগ এসেছে ২১৮টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৬১টি অভিযোগ। তবে এখনো বিএমইটির অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেলে ৩ হাজার ৩৮০টি অভিযোগ জমা রয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরব সম্পর্কিত অভিযোগ রয়েছে ১ হাজার ৮৬০টি, মালয়েশিয়া ১ হাজার ৩২৪টি, এছাড়া বাকি সব দেশে মিলিয়ে ১৯৬টি।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে প্রবাসী কর্মী, প্রবাসীর স্বজন ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অভিযোগ তদন্ত করে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে।
আরএএস/এএসএ/এমএস