অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একদিনে চার শিশুসহ কমপক্ষে আরও ১৫ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত সেখানে অপুষ্টিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরা।
Advertisement
মঙ্গলবার এই ঘোষণা এমন এক সময় এলো যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আরও তীব্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনে আরও কমপক্ষে ৮১ জন নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার পরিস্থিতিকে ‘সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যু ও ধ্বংসের এক ভয়াবহ প্রদর্শনী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় গত ২৪ ঘন্টায় অনাহারে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যাদের মধ্যে চারজনই শিশু। এখন পর্যন্ত সেখানে মোট ১০১ জন অনাহারে মারা গেছে যাদের মধ্যে ৮০ জন শিশু রয়েছে।
বেশিরভাগ মৃত্যুই গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার অনাহারে মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে রয়েছে ছয় সপ্তাহ বয়সী শিশু ইউসুফ আল-সাফাদি। সে উত্তর গাজা শহরের একটি হাসপাতালে মারা গেছে এবং ১৩ বছর বয়সী আব্দুলহামিদ আল-গালবান দক্ষিণ খান ইউনিসের অন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে মারা গেছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
ইউসুফের চাচা আদম আল-সাফাদি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শিশুটির মা অনাহারে থাকার কারণে তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারছিলেন না এবং পরিবারও তাকে খাওয়ানোর জন্য ফর্মুলা দুধের ব্যবস্থা করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আপনি এখানে কোথাও শিশুদের জন্য একটু দুধ পাবেন না। যদিও পান তার দাম অনেক বেশি। মায়েরা অনাহারে থাকার কারণে সন্তানদের দুধ খাওয়াতে পারছেন না। এখানে খাবার নেই, পানি নেই। অপুষ্টিতে শিশুরা মারা যাচ্ছে।
গাজায় খাদ্য, জ্বালানি, পানি এবং অন্যান্য মানবিক সরবরাহের ওপর ইসরায়েলের প্রায় পাঁচ মাস ধরে অবরোধের কারণে সেখানে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা গেছে। গত মার্চে ইসরায়েল সব ধরনের পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু মে মাস থেকে শুরু করে কিছু সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হয় যার বেশিরভাগই ছিল ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের।
টিটিএন
Advertisement