কোচ মাইক হেসনের মতো এত কর্কশ ভাষায় বলেননি যে, এ উইকেট অগ্রহণযোগ্য। এখানে খেলা যায় না। এ পিচ কিছুতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হওয়ার মতো না। এমন কঠিন ভাষা প্রয়োগ না করলেও পাকিস্তানের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ মনে করেন, পিচ বেশ কঠিন। জটিল। স্বচ্ছন্দে ব্যাট করার মতো না।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে ফাহিম আশরাফ বলেন, আমি গত বছর ও তার আগের বছরও বিপিএল খেলেছি। আমার মনে হয় বিপিএলের সময় আর এখনকার পিচের আচরণে পার্থক্য আছে। আমার মনে হয় বিপিএলের তুলনায় এখন পিচ পুরোপুরি ভিন্ন। বিপিএল ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হয়। তখন ভিন্ন আবহাওয়া থাকে। এখন বাংলাদেশে বর্ষাকাল। বৃষ্টি হয়েছে প্রচুর। তাই উইকেট নরম। বিপিএলের সময় শুরুতে উইকেটে একটু সমস্যা থাকলেও পরে উইকেট সহজ হয়ে যায়। রান ওঠে।
পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার বলেন, কিন্তু এখন দেখছি উইকেটে পেস কম। বল থেমে আসছে। ডাবল পেসড উইকেট মনে হচ্ছে। কিছু ডেলিভারি ওঠা-নামাও করেছে। সব মিলে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। বিপিএলের সঙ্গে তুলনা করলে উইকেট ভিন্ন।
গত ম্যাচের পাকিস্তানের টপ অর্ডার আজকেও ব্যর্থ। তারা কি এখনো এ উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি? এ প্রশ্ন করা হলে ফাহিম আশরাফ বলেন, শুরুতে বোলিংটাও ভালো করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
Advertisement
৪৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ফাহিম আশরাফের একার লড়াইয়ে জেতার অবস্থায় চলে গিয়েছিল পাকিস্তান।
১৯ নম্বর ওভারে রিশাদ হোসেনকে পেয়ে কী টার্গেট ছিল আপনার? এ প্রশ্নে ফাহিম আশরাফের জবাব, আমি জানতাম শেষ ওভার করবেন মোস্তাফিজ। তিনি বিশ্বমানের বোলার। তাকে মারা সহজ হবে না। তাই রিশাদের বল থেকে যতটা সম্ভব বেশি রান করে নিতে চেয়েছিলাম। আমরা ৫ উইকেট হারানোর পরও বিশ্বাস ছিল আমরা জিততে পারি। কিন্তু শেষ বলে আউট হয়ে যাই।
তারপরও ফাহিম আশরাফের আশা ছিল দল জিতবে। ড্রেসিংরুমে শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস ও আস্থা ছিল।
এআরবি/আইএইচএস/এএমএ
Advertisement