তিনি যখন উইকেটে যান, তখন বাংলাদেশ দল খুব চাপে । ইনিংসের ৫ ওভার পুরো হয়নি (৪.৪ ওভার)। স্কোরবোর্ডে রান তখন মাত্র ২৫। ওপেনার নাইম শেখ, পারভেজ ইমন আর অধিনায়ক লিটন দাস সাজঘরে।
Advertisement
ওই অবস্থা থেকে বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন জাকের আলী অনিক। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের কারো কাছ থেকেই সহায়তা পাননি। স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদীই পঞ্চম উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। যাতে জাকের আলীর চেয়ে শেখ মেহেদীর (২৩ বলে ৩৩) অবদান ছিল অনেক বেশি।
কিন্তু ১৪ নম্বর ওভারে শেখ মেহেদী আউট হওয়ার পর থেকে জাকের আলী একাহাতে দলকে টেনে নিয়ে যান। যদিও তখনো শামীম পাটোয়ারী ছিলেন। ভাবা হচ্ছিল ওয়েল সেট জাকের আলীর সঙ্গে শেষ ৩০ বলে শামীম পাটোয়ারী একটা ভালো জুটি গড়ে তুলবেন।
কিন্তু হায়! বাস্তবে কিছুই হয়নি। দলের প্রয়োজনের সময় মাত্র ১ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শামীম। তারপর জাকেরের সঙ্গী সব বোলাররা- তানজিম সাকিব (৭), রিশাদ (৮) ও শরিফুল (১)। এই ৩ জন মিলে করেছেন মাত্র ১৬ রান। কিন্তু জাকের আলী একাই জুড়ে দেন ২৪ রান। আর তাতেই ১৩৩ রান পর্যন্ত যায় বাংলাদেশের স্কোর।
Advertisement
শেরে বাংলার উইকেটে প্রথম দিনের মতো আজও (মঙ্গলবার) বল থেমে থেমে এসেছে। পেস আর বাউন্সও খুব সমান ছিল না। ডাবল পেসড উইকেট ছিল। কিছু ডেলিভারি ওঠা-নামাও করেছে। ওই উইকেটে তাই ১৩৩ রানের স্কোরটাকেই লড়াকু পুঁজি ভাবা হচ্ছিল।
বাংলাদেশ শিবিরের ভাবনা কী ছিল? ২৮ রানে ৪ উইকেট পতনের পর কত রানকে লড়াকু পুঁজি ভেবেছিল বাংলাদেশ? এই পিচে কত রান করতে পারলে পাকিস্তানকে চাপে ফেলা যাবে?
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টপ স্কোরার জাকের আলী অনিকের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি উত্তরে জানান, আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা যদি প্রপার ব্যাটিং করতে পারতাম, তাহলে স্কোর ১৫০ থেকে ১৬০ হতে পারতো। বাট আমরা শুরুতেই কয়েকটি উইকেট খুইয়ে বসি। আমি ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে ক্যাপ্টেন জাস্ট বলে দিলেন, যেহেতু আমরা শুরুতে উইকেট হারিয়ে ফেলেছি, তাই আমরা ১৪০ এর জন্য যাব। তারপরও আমরা ৬ রান কম করলাম। আমার শেষ শটটা ছয় হয়ে গেলে ভাল হতো।
শেষ ৭ বলে যখন পাকিস্তানের ১৩ রান দরকার ছিল, তখন কেমন মনে হচ্ছিল? জাকের আলীর জবাব, আসলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচই এমন। আমরাও এমন চিন্তা করছিলাম, ওরা ব্যাক করতে পারে। আমরা ওই সময় ভালো করতে পারিনি। দে প্লেইড ওয়েল। আমরাও ফাইটব্যাক করেছি। অল অ্যাবাউট উইনিং অর লুজিং, আমরা জিতেছি। টিমের চাওয়া ম্যাচ জেতা।
Advertisement
শেরে বাংলার উইকেট সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন করে জাকের আলী বলেন, আমরা জানি এখানে হাই স্কোরিং গেম হয় না। এমন চিন্তা করেই এসেছিলাম। উইকেটের যেমন কন্ডিশন আমরা তেমন প্ল্যান নিয়েই আগাচ্ছিলাম। ক্যাপ্টেন আমাকে সে ইনস্ট্রাকশনই দিয়েছেন। ওরকম প্ল্যানিংয়েই এগুচ্ছিলাম।
তিনি বলেন, এখানে (শেরে বাংলায়) সিচুয়েশন ডিমান্ড করছে ১৪০ থেকে ১৫০ রান। আমরাও সেভাবে খেলেছি। আবার যদি সিলেটে খেলি, তাহলে টার্গেট অ্যান্ড প্ল্যান ও অ্যাপ্রোচ-অ্যাপ্লিকেশন বদলে যাবে। সেখানে ব্যাটিং উইকেটে নিশ্চয়ই আরও বড় রানের টার্গেটে খেলতে হবে।
এআরবি/আইএইচএস/এএমএ