মানুষের কত বিচিত্র চিন্তা থাকে! মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থক বেশ কয়েকজন খেলা দেখতে এসেছেন পাকিস্তানের জার্সি পরে। আবার কয়েকজনকে দেখা গেলো, গায়ে পাকিস্তানের জার্সি, হাতে বাংলাদেশের পতাকা। একজনকে তো দেখা গেলো, বুকে-পিঠে লিখে রেখেছে ‘মিস ইউ বাবর আজম’। আবার দুই গালের একপাশে পাকিস্তানের, অন্যপাশে বাংলাদেশের পতাকা আঁকা।
Advertisement
কেন এমন অদ্ভূত চিন্তা জাগলো এসব দর্শকের মাথায়? জানতে চাইলে যিনি গায়ে জার্সি এবং হাতে বাংলাদেশের পতাকা, মতিঝিল থেকে আসা ৮ম শ্রেণীতে পড়া মোহাম্মদ সজিব বলেন, ‘আমি হলাম কুফা। আমি যে দলকে সমর্থন করি, সে দল জেতে না। প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তানের জার্সি পরে এসেছিলাম বাংলাদেশকে জেতানোর জন্য। আজও পাকিস্তানের জার্সি পরে এসেছি বাংলাদেশ দলকে জয় এনে দেয়ার জন্য। গায়ে পাকিস্তানের জার্সি থাকলেও অন্তরে তো সব সময় বাংলাদেশই থাকে।’
উত্তরা থেকে আসা মোহাম্মদ শাহীন নামে আরেকজনের গায়ে দেখা গেলো পাকিস্তানের জার্সি। তিনি বাংলাদেশ দলের না পাকিস্তানের সাপোর্টার? জানতে চাইলে শাহিন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশেরই সাপোর্টার। তবে, পাকিস্তানের জার্সি পরে এসেছি, যেন বাংলাদেশ যেতে। কারণ, আমি যে দলকে সমর্থন করি সে দলই হারে। এ কারণে আজ আমি পাকিস্তানের সমর্থক।’
শাহিনের সঙ্গে দেখা গেলো আরও দু’জন পাকিস্তানের জার্সি পরে এসেছেন খেলা দেখতে। সবুজ ও রিফাত নামে এই দু’জন জানালেন, তারা সত্যি সত্যি পাকিস্তানের খেলা দেখতে পছন্দ করেন। এ কারণে তারা পাকিস্তানের সমর্থক।
Advertisement
হাজারীবাগের রফিকুল ইসলামের প্রিয় বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। তারা দু’জন না থাকলেও পাকিস্তানের জয় কামনায় খেলা দেখতে এসেছেন মাঠে। তবে তার সঙ্গী উচ্চতায় অনেক লম্বা, মোহাম্মদ আশরাফুল মজা করেই পাকিস্তানের জার্সি পরে এলেন। জানালেন, ‘এটা একটা বিনোদন। সবাই তো বাংলাদেশের সমর্থক। আমি না হয় একটু মজা করে পাকিস্তানের সমর্থক হয়ে গেলাম!’
আল আমিন নামে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে একজন গ্লাস মিস্ত্রি বুকে-পিঠে লিখে এসেছেন, ‘আই মিসইউ দ্য কিং বাবর।’ বুকে এবং পিঠেই নয় শুধু, দুই হাতের বাহুতেও বাবর আজমের প্রতি তার ভালবাসার কথা লিখে এসেছেন।
জানতে চাইলাম, ‘বাবর-রিজওয়ান তো নেই। তাহলে তাদের কথা লিখলেন কেন? আল আমিন বললেন, ‘তারা নেই তো কি হয়েছে। সব সময়ই আমি তাদের মিস করি, তাদের সমর্থক। এখন তারা নেই এ কারণে বাংলাদেশের সমর্থক। তবে পাকিস্তান দলটাকেও পছন্দ করি।’
আইএইচএস/এমএমআর/এএসএম
Advertisement