অতি দরিদ্র মহিলা ভাতাভোগীর (ভিডব্লিউবি) তালিকায় ইউপি সদস্যের স্ত্রীর নাম। দোতলা বাড়ি রয়েছে এমন ব্যক্তির স্ত্রীর নামও রয়েছে ওই তালিকায়। এমনই ঘটনা ঘটেছ নাটোরের লালপুরে।
Advertisement
উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল মালিথার স্ত্রী ফাইমা খাতুন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ‘অতি দরিদ্র মহিলা ভাতা’ কার্যক্রমের আওতায় ভাতাভোগী নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার মোহরকয়া রফিকুল মালিথা একজন বিত্তবান ব্যক্তি। এরপরও ফাইমা খাতুনকে ‘অতি দরিদ্র’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ভাতাভোগীর তালিকায়।
এ বিষয়ে রফিকুল মালিথার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করে ফেলেছি, কী আর করার! বাদ দিলে দিয়ে দিক সমস্যা নেই। একটা মেম্বার যে টাকা বেতন পাই, তা দিয়ে তো চলে না। একটু এদিক সেদিক তো হবেই।’
Advertisement
উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের রায়হান আলীও একজন বিত্তবান ব্যক্তি। তার দোতলা বাড়ি রয়েছে। এরপরও তার স্ত্রী মিম খাতুনকে ‘অতি দরিদ্র’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন, যারা প্রকৃত দরিদ্র তারা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ বিত্তবান হওয়া সত্ত্বেও নিজের স্ত্রীর নামে গরিব মানুষের হক ভোগ করার চেষ্টা করছেন অনেকে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ভাতাভোগীদের তালিকা উপজেলা অফিস ও ওয়েবসাইটে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কারও যোগ্যতা নিয়ে আপত্তি থাকলে অভিযোগ আহ্বান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের (২৪ জুলাই) অভিযোগ করতে হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/এমএস
Advertisement