একজনের বয়স ৬০-এর কাছাকাছি, অন্যজনেরও ৫০ প্লাস হবে। তৃতীয় ব্যক্তির বয়স ২৭ থেকে ৩০ এর মধ্যে। পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এক নম্বরে গেটের প্রবেশ পথের সামনে। কৌতুহলী হয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কি পাকিস্তান থেকে এসেছেন?
Advertisement
খুশি মনে এগিয়ে এসে করমর্দন করে বললেন, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতেই বাংলাদেশে এসেছেন। পাকিস্তানি হলেও তারা কিন্তু পাকিস্তান থেকে আসেননি। এসেছেন সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে।
কথা বললেন বয়জেষ্ঠ্য যিনি, সেলিম শের। পরিচয় দিলেন তারা তিনজনই একই পরিবারের। বড় দুইজন আপন ভাই। অন্য ভাইয়ের নাম আসলাম শের। কমবয়সী তরুণ সেলিম শের-এর ছেলে। নাম আব্বাস শের। সেলিম শের এবং আব্বাস শের থাকেন টেক্সাসের হিউস্টনে। আর আসলাম শের থাকেন কানাডার টরন্টোয়।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান হেরেছে বাংলাদেশের কাছে। তাতে কিছুটা হলেও মন খারাপ। দ্বিতীয় ম্যাচে আজ কী প্রত্যাশা? জানতে চাইলে সেলিম শের বললেন, ‘রেজাল্ট যাই হোক, এখানে এসে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ পেয়েছি। মাঠে রেজাল্ট যাই হোক, বন্ধুত্বই সবার ওপরে। ক্রিকেট হলো বন্ধুত্বের তৈরি করার বড় একটি টুল (হাতিয়ার)। আমরা বাংলাদেশে এসে যে আতিথেয়তা পাই, এটা অসাধারণ।’
Advertisement
সেলিম শের জানালেন, এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার ঢাকায় এসেছেন খেলা দেখার জন্য। আসলাম শের এবং আব্বাস শের এই প্রথম এলেন। আব্বাস শের বললেন, ‘ঢাকা দারুণ শহর। এখানকার মানুষদের সমর্থনও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।’
আইএইচএস/এমএমআর/এএসএম