দেশজুড়ে

এবার কেবল প্রতিশ্রুতিতে মন ভরবে না ভোটারদের

এবার কেবল প্রতিশ্রুতিতে মন ভরবে না ভোটারদের

কুড়িগ্রাম-৪ সংসদীয় আসনটি দেশের অন্যতম দারিদ্র্যপীড়িত ও ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন একটি এলাকা। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী চিলমারী, রৌমারী ও সম্পূর্ণ ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত চর রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে এ আসন গঠিত। প্রতি বছর নদীভাঙনে হাজারো পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়।

Advertisement

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাঁধ নির্মাণ, নদীশাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি প্রতিটি দলের প্রার্থীদের প্রচারণা থাকলেও ভোটাররা ভাবছেন অন্যকিছু। গত নির্বাচনগুলোর মতো এবার প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি আর মিথ্যা আশ্বাসে মন গলাতে পারছে না তাদের। প্রকৃত উন্নয়ন, নদীভাঙন রোধ, সীমান্তে নিরাপত্তা, মাদক প্রতিরোধ, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতি ও বেকার সমস্যা সমাধান এসবের বাস্তবায়ন চান সেখানকার ভোটাররা।

ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত কুড়িগ্রাম-৪ আসন। ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪০৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৮ হাজার ৭০৮ ও নারী ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯ জন।

স্বাধীনতার পর থেকেই এ আসনটি নানান কারণে অবহেলিত। এই অবহেলিত জনপদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নদীভাঙন। এটি কীভাবে স্থায়ী সমাধান করা যায় সে বিষয়টি প্রাধান্য দেব। আমাদের এ অঞ্চল হলো শিক্ষায় দুর্বল, যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনগ্রসর ও অবকাঠামোর দিক থেকে খুবই নাজুক। বেকার সমস্যায় এ অঞ্চলের মানুষ জর্জরিত। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি দিয়ে এই অঞ্চল চালিত।

Advertisement

আসনটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চিলমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল বারী, জেলা বিএনপির সদস্য ও রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান ও কেন্দ্রীয় মহিলা দলের নেত্রী মমতাজ বেগম লিপি মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন রিজভীকে দিয়ে জাপার দুর্গ ভাঙতে চায় বিএনপি, বাধা ইসলামি দল জোটে বদলে যেতে পারে ভোটের হিসাবনিকাশ

এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক উপজেলা আমির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি শাহাদত হোসাইনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নানামুখী উন্নয়ন ও সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন নদী চর ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. সাদ কাশেম। তিনিও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে শোনা যাচ্ছে। সাদ কাশেম প্রয়াত এমপি একেএম মাঈদুল ইসলামের ভাতিজা ও একেএম ময়নুল ইসলাম মন্টু মিয়ার ছেলে।

এখানে ভালো কোনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। কিছু রাস্তাঘাটের আঞ্চলিকভাবে উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সামগ্রিকভাবে সব রাস্তার প্রতি নজর দেওয়া হয়নি। আমি যেহেতু একেবারেই রুট লেভেলের মানুষ আমি সব সেক্টরে এই এলাকার মানুষদের সঙ্গে মিশছি। তাদের যে প্রত্যাশা সেটা আমি বুঝতে পেরেছি। আল্লাহপাক যদি আমাকে ক্ষমতা দেন তাহলে আমি আশা করি আমার চিন্তা অনুযায়ী সব সেক্টরে উন্নয়ন করতে পারবো। রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীকে মডেল এলাকা হিসেবে পরিণত করতে পারবো।

Advertisement

এ আসনের ভোটার মোকাম্মেল হোসেন (৫৬), শেখ ফরিদ (৭২), আব্দার হেসেনসহ (৩৯) কয়েকজন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বেষ্টিত এই আসনের বেশিরভাগ এলাকা। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস এ অঞ্চলের মানুষের। এখানকার মানুষের একমাত্র জীবিকা কৃষি ও নদীভিত্তিক পেশা, যা বর্ষাকালে প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্দশা দীর্ঘদিনের। অধিকাংশ রাস্তাঘাট এখনো কাঁচা, বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অনুপযোগী। নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শোনা যায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। এবার ভোটের হিসাব-নিকাশ যতই চলুক, এখানকার মানুষের চাওয়া নদীভাঙন রোধ, টেকসই রাস্তা ও সেতু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা আরও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। এ প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করতে যে প্রার্থী এগিয়ে আসবে, তাকেই মানুষ মূল্যায়ন করবে বলে জানান তারা।

আসনটিতে ২০০১ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম হাবিব দুলাল লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাকির হোসেন, ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি (জেপি) (বাইসাইকেল) প্রতীক নিয়ে রুহুল আমিন, ২০১৮ সালে ফের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন এবং ২০২৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা বিপ্লব হাসান পলাশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলেও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির ২৭ বছরের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান।

আরও পড়ুন বিএনপি-জামায়াত দুই দলই আশাবাদী বিএনপির চ্যালেঞ্জ জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন

মোখলেছুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই এ আসনটি নানান কারণে অবহেলিত। এই অবহেলিত জনপদের সবচেয়ে বড় সমস্যা নদীভাঙন। এটি কীভাবে স্থায়ী সমাধান করা যায় সে বিষয়টি প্রাধান্য দেব। আমাদের এ অঞ্চল হলো শিক্ষায় দুর্বল, যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনগ্রসর ও অবকাঠামোর দিক থেকে খুবই নাজুক। বেকার সমস্যায় এ অঞ্চলের মানুষ জর্জরিত। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি দিয়ে এ অঞ্চল চালিত। রৌমারী-রাজিবপুর স্বাধীনতা যুদ্ধের একটা গৌরবময় মুক্ত অঞ্চল। এ অঞ্চলকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কীভাবে বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলের মতো এগিয়ে নেওয়া যায় বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্র করে সে বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজরিত রাজিবপুর, রৌমারী তথা মুক্ত অঞ্চলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, রেললাইনসহ আরও যেসব সমস্যা আছে সেগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সেই বিষয়ে আমি গুরুত্ব দেব।

আমার বাড়ি ছিল চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নে। বাড়িটি নদীগর্ভে বিলীন হলে কিছুদিন পর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটিতে স্থানান্তর করি। কিছুদিন পর রৌমারীতে নিয়ে আসি। নদীভাঙনের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমার বেড়ে ওঠা। সে কারণে আমি নদীভাঙনের বিষয়ে জানি, তাই আমি সবার আগে নদীভাঙন নিয়ে কাজ করতে চাই। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীর সাধারণ মানুষ রয়ে গেছে বঞ্চিত ও অবহেলিত।

এ আসন থেকে এবার মনোনয়ন চাইবেন রৌমারী উপজেলা বিএনপির ১৭ বছরের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য আজিজুর রহমান।

আজিজুর রহমান বলেন, একটি জাতিকে উন্নত করে তুলতে হলে শিক্ষিত করতে হবে। কিন্তু এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, লেখাপড়ার চর্চা নেই। এখানে কোনো শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি, শিল্প কারখানা গড়ে তুললে এখানকার যারা বেকার তারা কর্মমুখী হবে। নদী ভেঙে মানুষের কিছু নেই, নদীভাঙন নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। সেই সঙ্গে এখানকার রাস্তার উন্নয়নের সঙ্গে রেললাইনটা রৌমারী থেকে ঢাকার সঙ্গে সংযোগ করতে হবে। আমি স্বপ্ন দেখছি রাষ্ট্রীয়ভাবে এটিও করা সম্ভব। আমি ১৯৯১ সালে ও ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলাম, সেই সঙ্গে মানুষ ধানের শীষ প্রতীককে ভালোবাসে এবং আমাকে ভালোবেসে বিএনপিকে ভোট দেবে বলে আশা করেন তিনি।

বিএনপির মনোয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মমতাজ হোসেন লিপি বলেন, আমার বাবা গোলাম হোসেন এ আসনের এমপি ছিলেন। আমার বাবা এমপি হওয়ার পর থেকে আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো ভাবছি। এলাকার নানান সমস্যা নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। এর মধ্যে অন্যতম হলো নদীভাঙন, শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ।

আরও পড়ুন বিএনপি-জামায়াত লড়াইয়ের সম্ভাবনা নতুন প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণা

জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আমরা অতীতে যেটা দেখছি এ এলাকার সব সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা হলো নদীভাঙন। এই নদীভাঙনটা রোধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রয়োজন। এই কাজটি আমানতদারিতার সঙ্গে করবো এরকম চিন্তাভাবনা থেকেই আমি এটাকে সমর্থন করছি। সেই সঙ্গে আমাদের বিশেষ করে কুড়িগ্রাম জেলার একটা অংশ রৌমারী। রৌমারী যেহেতু অবহেলিত এলাকা। ঢাকার সঙ্গে যদি কানেকশন না থাকতো তাহলে আমরা আরও পিছিয়ে থাকতাম। ঢাকার সঙ্গে কানেকশনের কারণে কিছুটা আমরা ডেভেলপমেন্টের মুখ দেখছি। এখানে ভালো কোনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। কিছু রাস্তাঘাটের আঞ্চলিকভাবে উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু সামগ্রিকভাবে সব রাস্তার প্রতি নজর দেওয়া হয়নি। আমি যেহেতু একেবারেই রুট লেভেলের মানুষ আমি সব সেক্টরে এই এলাকার মানুষদের সঙ্গে মিশছি। তাদের যে প্রত্যাশা সেটা আমি বুঝতে পেরেছি। আল্লাহপাক যদি আমাকে ক্ষমতা দেন তাহলে আমি আশা করি আমার চিন্তা অনুযায়ী সব সেক্টরে উন্নয়ন করতে পারবো। রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীকে মডেল এলাকা হিসেবে পরিণত করতে পারবো।

রাজিবপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন; মোহনগঞ্জ, কোদালকাঠি এবং রাজিবপুর সদর। এরমধ্যে মোহনগঞ্জ ও কোদালকাটি ইউনিয়নের ৭০ শতাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখানে যারা নদীর জন্য স্থায়ী পরিকল্পনা করবে, নদীশাসন করবে, পাশাপাশি এলাকাটি উন্নত হওয়ার জন্য মিলকারখানা গড়ে তুলবে এখানকার সাধারণ ভোটাররা তাকেই বেঁছে নেবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী ও দলটির রৌমারী উপজেলা শাখার সেক্রেটারী সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমার বাড়ি ছিল চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নে। বাড়িটি নদীগর্ভে বিলীন হলে কিছুদিন পর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটিতে স্থানান্তর করি। এর কিছুদিন পর রৌমারীতে নিয়ে আসি। নদীভাঙনের তিক্ত অভিজ্ঞতায় আমার বেড়ে ওঠা। সে কারণে আমি নদীভাঙনের বিষয়ে জানি, তাই আমি সবার আগে নদীভাঙন নিয়ে কাজ করতে চাই। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীর সাধারণ মানুষ রয়ে গেছে বঞ্চিত ও অবহেলিত। এ অঞ্চলের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নদীভাঙন, শিক্ষা ব্যবস্থা ও বেকারত্ব। বিগত সময়ের শাসকরা পারেনি একটি টেকসই পরিকল্পনা, উন্নয়নভিত্তিক নেতৃত্ব দিতে। আমি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই।

রাজিবপুরের স্থানীয় সংবাদকর্মী সোহেল রানা স্বপ্ন বলেন, রাজিবপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন রয়েছে- মোহনগঞ্জ, কোদালকাঠি এবং রাজিবপুর সদর। এর মধ্যে মোহনগঞ্জ ও কোদালকাটি ইউনিয়নের ৭০ শতাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখানে যারা নদীর জন্য স্থায়ী পরিকল্পনা করবে, নদীশাসন করবে, পাশাপাশি এলাকাটি উন্নত হওয়ার জন্য মিলকারখানা গড়ে তুলবে এখানকার সাধারণ ভোটাররা তাকেই বেছে নেবে। রৌমারী-রাজিবপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র আড়াইশ কিলোমিটার কিন্তু এখানে উন্নত ভারী কোনো যানবাহন, ভালো বাস যোগাযোগ বা বিমানবন্দর নেই। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এ অঞ্চলটিতে ট্রেনের সংযোগ নেই। এই অঞ্চলে দারিদ্রতা পিছু ছাড়ছে না। এখানে নৌবন্দর-স্থলবন্দর রয়েছে। বন্দরগুলোর অবকাঠামো ও যথাযোগ্য ব্যবহার নেই। রাজিবপুরে বর্ডার হাট রয়েছে এগুলো কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের বেকার সমস্যা দূর করানোর জন্য যিনি কাজ করবেন এখানকার মানুষ তাদের ভোট দেবে।

আরও পড়ুন পিআর পদ্ধতিতে সংসদে সব দলের সুষম অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে: ফয়জুল করীম মসজিদের রেলিং ভেঙে মুসল্লির মৃত্যু

তিনি আরও বলেন, এখানে শিল্প কারখানা না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যায়। এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে কিন্তু এই জনবল কাজে লাগিয়ে কোনো মিল কারখানা এখনো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখানে এমনও গ্রাম আছে যেখানে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেই পুরোনো হারিকেন ও কুপি জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। এখানকার মানুষ ঠিকভাবে খেতে পারে না, এমনকি রোজার সময় তারা পান্তা দিয়ে ইফতার করে। এখানকার কৃষকদের একদিন কাজ চললেও ছয়দিন কাজ চলে না। খেটে খাওয়া মানুষের কাজ না থাকায় তারা ঠিকমতো খেতে পারে না। অন্যদিকে নিত্যদিনের সঙ্গী নদীভাঙন তো আছেই। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ দরিদ্র থেকে হতদরিদ্রে পরিণত হচ্ছে। অতএব মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, এসব জনগোষ্ঠীকে নিয়ে যারা কাজ করবে তাকেই মানুষ ভোট দেবে- তিনি বিজয়ী হবেন।

এমএএনইউ/এসএইচএস/এমএফএ/এএসএম