২৮ রানে নেই ৪টি। সেই বিপর্যয় থেকে শেখ মেহেদী আর জাকের আলীর লড়াকু জুটি। মেহেদী ৩৩ করে আউট হলেও জাকের আলী দলকে টেনে নিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। ছক্কা মেরে ফিফটি পূরণ করা জাকেরের ব্যাটে চড়েই সম্মানজনক পুঁজি পর্যন্ত গেছে বাংলাদেশ। ইনিংসে শেষ বলে ১৩৩ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।
Advertisement
শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই ধাক্কা। তানজিদ হাসান তামিমের বদলে খেলতে নেমে ওপেনার নাইম শেখ ৭ বলে ৩ করেই সাজঘরের পথ ধরেন।
ফাহিম আশরাফের বলে হাঁটু গেড়ে উইকেটরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন নাইম। বল ব্যাটে লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
পঞ্চম ওভারে লিটন দাস বরাবরের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে উইকেট বিলিয়ে আসেন। তিনি সালমান মির্জার শিকার হন ডিপমিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৮ রান।
Advertisement
ওই ওভারেই দুই বল পর সালমান আগার থ্রোতে রানআউট হন তাওহিদ হৃদয় (০)। ২৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মারকুটে পারভেজ হোসেন ইমনও আউট হয়ে যান।
অভিষিক্ত পেসার পারভেজ দানিয়েলের বলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমন। ১৪ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ইমন করেন ১৩ রান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা, তুলতে পারে মাত্র ২৯ রান।
সেই বিপর্যয়ে হাল ধরেন শেখ মেহেদী আর জাকের আলী। ৪৯ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেন তারা। শেষ পর্যন্ত মেহেদীর আউটে ভাঙে এই জুটি।
মোহাম্মদ নওয়াজকে আগের বলেই ছক্কা মেরেছিলেন। পরের বলে আবার চালাতে গিয়ে লংঅফ ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন মেহেদী। ২৫ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
Advertisement
সুবিধা করতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী। ৪ বলে ১ করে অভিষিক্ত দানিয়েলের বলে বোল্ড হন ইনসাইডেজে। একশর আগে (৯৩ রানে) ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তানজিম হাসান সাকিব ৪ বলে ৭ আর রিশাদ হোসেন ৪ বলে ৮ করে আউট হন। তবে এক প্রান্ত ধরে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন জাকের আলী। ৪৮ বলে ১ চার আর ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করে শেষ বলে আউট হন জাকের।
পাকিস্তানের সালমান মির্জা, আহমেদ দানিয়েল আর আব্বাস আফ্রিদি নেন দুটি করে উইকেট।
এমএমআর/এমএস