দেশজুড়ে

কমেছে মরিচের দাম, চড়া শসার বাজার

কমেছে মরিচের দাম, চড়া শসার বাজার

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। সেই সঙ্গে দাম কমেছে বেগুনসহ কিছু সবজির। তবে দাম বেড়েছে বরবটি, শসা ও কাঁকরোলের। এছাড়া চাল, ডাল, মুরগি, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ২৩০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম কমে হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা।

এছাড়া প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ১৫০-১৬০ টাকা, গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল দাম বেড়ে ২৫-৩০ টাকা, ঝিংগা ৩০-৩৫ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ২০-২৫ টাকা হালি, দুদকুষি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চিকন বেগুনের দাম কমে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের দাম ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা, পটল আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, বরবটি ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, করলা আগের মতো ৩০-৪০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ২৫-৩৫ টাকা, কচুরলতি ৪০-৪৫ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ৩৫০-৪০০ টাকা থেকে কমে ২০০-২৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

অপরদিকে পেঁয়াজ আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা, আদা আগের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

লালবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল গফুর বলেন, যেসব সবজির মৌসুম শেষ পর্যায়ে, বাজারে সরবরাহ কম, সেসব সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় শসার দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কেরানীপাড়া চৌরাস্তা মোড় বাজারের মুরগি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতো ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১১০-১১৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/জেডএইচ/এএসএম