বিনোদন

বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে যা বললেন সালমান মুক্তাদির

বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে যা বললেন সালমান মুক্তাদির

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি। গতকাল (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর উত্তরায় বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান।

Advertisement

বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন লেগে যায়। ফলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্কুল শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল থেকে শোকের মাতম চলছে। শোবিজের তারকারাও শোকে বিহ্বল। দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ও মডেল সালমান মুক্তাদির এ দুর্ঘটনায় নিজের ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এ নিয়ে তিনি সালমান মুক্তাদির ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি চুপ করে থাকার জন্য। আমার সবকিছু বুকে চেপে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এই দেশ নিজের মানুষদের দ্বারাই অভিশপ্ত।’

Advertisement

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি বারবার বলি, আমরা আমাদের প্রাপ্য মৃত্যুই পাই। সেটা হোক ভবন ধসে পড়ে চাপা পড়া, ট্রাক আমাদের শরীরের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া, বাস মাথা পিষে দেওয়া, নির্মাণযন্ত্র কংক্রিট ফেলে দিয়ে হত্যা করা, স্কুলের ওপর “প্রশিক্ষণ” বিমানের দুর্ঘটনা, কিংবা ত্রুটিপূর্ণ প্যারাস্যুট বা বিমানে পাইলটদের মৃত্যু- আমরা এই মর্মান্তিক পরিণতিগুলোরই যোগ্য।’

আরও পড়ুন:তৌসিফ-সাদিয়াদের রক্তের আহ্বান, কী বলছেন অন্য তারকারাকেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে বললেন নিপুণ

সালমান মুক্তাদির এই মৃত্যু আমাদের প্রাপ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন সবকিছু উপেক্ষা করি, কারণ তা আমাদের সঙ্গে ঘটে না। কিন্তু যখন ঘটে, তখন আমরা কাঁদি, অনুতাপ করি, তারপর আবার আগের মতোই চলি। আমাদের এই মৃত্যু প্রাপ্য, কারণ আমরা দেশের এই চলার ধারা মেনে নিই, মেনে চলতে দিই। তাই যখন কেউ মুখ না খুলে, আর যারা সামান্য কিছু বলেন তারাও একসময় ক্লান্ত হয়ে হার মেনে নেন, তখন সেটা একটা অভিশপ্ত চক্রে পরিণত হয়। তাই বসে থাকো, কেঁদে নাও, আর আশা করো সবকিছু হঠাৎ করে ঠিক হয়ে যাবে। আমার ভেতরটা ধ্বংস হয়ে যায় যখন দেখি- একজন মানুষও নেই যিনি বলবেন, “এই পর্যন্ত, আর না!” একজনও নেই যে বলবে, “এবার সময় এসেছে ঠিক করার।” যা ঘটেছে, তা খুব সহজেই এড়ানো যেত।’

এমএমএফ/এলআইএ/জেআইএম

Advertisement