উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের দেখতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন শ্রমবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে যা যা করা দরকার, সবই করা হবে। আহত শিশুদের যদি চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে পরামর্শ আসে, তবে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, এমন জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমান নিয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা সত্যিই প্রশ্ন তোলে। এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, একটি ট্রেনিং জেট নানা কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে। এর প্রধান কারণ হতে পারে পাইলটের ভুল বা যান্ত্রিক ত্রুটি। যদিও ব্যবহৃত বিমানগুলো পুরোনো, তবু আমার জানামতে, সেগুলোর ভেতরের উপকরণ ও প্রযুক্তি নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়। তবে বিমানের ব্ল্যাকবক্স বিশ্লেষণ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না দুর্ঘটনার পেছনে কোনটি দায়ী, পাইলট এরর না টেকনিক্যাল ফেইলর।
Advertisement
ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এই ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। অনেকেই গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। কিছু রোগীর দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হবে। সিঙ্গাপুর থেকে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম আসছে। তারা রোগীদের দেখে সিদ্ধান্ত নেবে কাদের সেখানে পাঠানো প্রয়োজন।
চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যা যা দরকার, সবই করা হবে। যাদের বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে বহু দগ্ধ শিশু। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইএআর/এসএনআর/জিকেএস
Advertisement