কালের বিবর্তনে ডিজিটাল সংস্কৃতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হারিয়ে গেছে অতীতের অনেক বাদ্যযন্ত্র। সংগীতেও লেগেছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া। তাই একসময় যাদের সংগীতে হাতেখড়ি হয়েছিল হারমোনিয়াম কিংবা তবলায়, তাদের উত্তরসূরিরা বেছে নিচ্ছেন গিটার কিংবা কিবোর্ড। তবে দেশীয় বাদ্যযন্ত্র টিকিয়ে রাখতে একজনের চেষ্টার কমতি নেই। তিনি ময়মনসিংহের রেজাউল করিম আসলাম।
Advertisement
দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সংগ্রাহক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন রেজাউল করিম আসলাম। কারণ যৌবনকাল থেকে পরম ভালোবাসায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দেশীয় বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নতুন প্রজন্মের অনেকেই দেশীয় বাদ্যযন্ত্র চেনেন না। তাদের কাছে যন্ত্রগুলো পরিচয় করিয়ে দিতে ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠের বিপরীতে কাঁচিঝুলি রোডের একটি ভাড়া বাসার নিচ তলায় গড়ে তুলেছেন বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ব্যতিক্রমী এক জাদুঘর। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এশিয়ান মিউজিক মিউজিয়াম’। এতে রয়েছে সতেরো থেকে উনিশ শতাব্দীর দুর্লভ বাদ্যযন্ত্র। ঢেম্পারেঙ, বরতাল, চঙ, দভন্ডি, দোতারা, চিকারা, গিনটোঙ, ঘেরা, যোগী সারঙ্গী, হালগি, মুগরবন, পোহল, থিমিলা ও শিঙ্গাসহ পুরোনো দুর্লভ বাদ্যযন্ত্র নিয়ে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাদ্যযন্ত্র বিক্রির পাশাপাশি রেজাউল করিম আসলাম ২০২০ সালে এই সংগীত জাদুঘরের যাত্রা শুরু করেন। এই জাদুঘরে রয়েছে প্রায় ৬০০ বিরল ও দেশি বাদ্যযন্ত্র। এ জাদুঘরে পুরোনো বাদ্যযন্ত্রগুলোর কোনোটি ৩৫০ বছর, কোনোটা ২৫০ বছর, আবার কোনোটা ১৫০ বছরের পুরোনো। এর মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ বছরের পুরোনো সারিন্দা আছে ২০টি, সরার আছে ৩০টি, মেকুঁড় আছে ৬০টি, চার ধরনের সেতার আছে ৮টি। এছাড়া এসরাজ, সারেঙ্গি, সরোদ, তানপুরা, দোতারা, একতারা, লাউয়া ও নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র।
‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাদ্যযন্ত্রেও পরিবর্তন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে ঐতিহ্যবাহী দেশি বাদ্যযন্ত্রকে দূরে ঠেলে দেওয়া যাবে না। দূরে ঠেলে দেওয়ার কারণে এগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়েছে, হচ্ছে। রেজাউল করিম আসলামের জাদুঘরে গেলে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানাতে পারবে।’
Advertisement
সংগীতে ব্যবহারের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি গ্রামোফোন ও ক্যাসেট প্লেয়ার আছে ৮০টি, ছোট-বড় রেডিও আছে ৪০টি, এলপি রেকর্ড প্লেয়ার আছে ৪০০টির মতো। এছাড়াও নগরীর বড় বাজার এলাকায় ‘নবাব এন্ড কোং’ নামের একটি দোকানের স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম আসলাম। দোকানটি শুধু দোকান নয়, পরিপূর্ণ একটি ভান্ডারে পরিণত হয়েছে। দোকানের সঙ্গে লাগোয়া একটি ঘরে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সব ধরনের বাদ্যযন্ত্রে ঘরটি সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ।
রেজাউল করিম আসলাম নগরীর আকুয়া এলাকার বাসিন্দা। ১৯৪৪ সালে তার দাদা মরহুম নবাব আলী শহরের জি.কে.এম.সি সাহা রোডের বড় বাজারে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নবাব এন্ড কোং’ নামের বাদ্যযন্ত্রের দোকানটি। বংশ পরম্পরায় বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসাটি দাদার মৃত্যুর পর বাবা জালাল উদ্দিন পরিচালনা করে আসছিলেন। স্কুলজীবন শেষ করে বাবাকে সহযোগিতা করতে দোকানে আসেন রেজাউল করিম আসলাম। দোকানে অনেক পুরাতন বেহালা, সেতার ও তানপুরা পড়ে থাকতে দেখে সেগুলোর যত্ন নিতে শুরু করেন তিনি। একসময় এসব ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের প্রেমে পড়ে যান এবং সংগ্রহের প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। আর এই আসক্তি থেকেই দেশীয় বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহের দিকে গভীর মনোযোগ দেন আসলাম। তার হাত ধরে তিন পুরুষের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসা এখন রূপ নিয়েছে ‘এশিয়ান মিউজিক মিউজিয়ামে’।
আরও পড়ুন- জুলাইয়ের গানে মুখর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চর্যাগীতি গেয়ে শেষ হলো উৎসব সাগরের পর পাহাড় নিয়ে গাইলেন তাসরিফরা কিশোর কুমার ঘরে মাথার খুলি রাখতেন, কারণ জানালেন ছেলেআসলাম মূলত একজন বাদ্যযন্ত্র ও লোকজ সংস্কৃতি সংগ্রাহক। আসলাম ২০০৬ সাল থেকে শুরু করেন বিরল বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ। সংগ্রহের পাশাপাশি এসব নিয়ে গবেষণাও করছেন তিনি। যে যন্ত্রগুলো হারিয়ে যাচ্ছে- আধুনিক কারিগরদের দিয়ে ওই যন্ত্রের আদলে নতুন করে আবার বাদ্যযন্ত্র তৈরি করছেন। বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি রেডিও, রেকর্ড প্লেয়ার, গ্রামোফোন, এলপি রেকর্ড ও গানের বইসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য জিনিসও সংগ্রহে রয়েছে তার।
‘ধীরে ধীরে বিদেশি ও আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের প্রতি ছেলে-মেয়েদের আকর্ষণ বেড়েছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মের কাছে দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের পরিচিতিসহ ব্যবহার বাড়াতে হবে। বাদ্যযন্ত্র সংগ্রাহক রেজাউল করিম আসলামের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
Advertisement
সংগ্রহে থাকা বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একতন্ত্রী বীণা (প্রচলিত নাম একতারা। বাউল, বৈরাগী ও ভিক্ষুকরা যন্ত্রটি বেশি ব্যবহার করেন), সেতার, সারেঙ্গী (পৌরাণিক কাহিনি, ধর্মীয় ও ভক্তিমূলক গানের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়), এস্রাজ (উচ্চাঙ্গ একক যন্ত্র), সুর সংগ্রহ (প্রচলিত নাম স্বরাজ। লোকজ গানে ব্যবহার হয়), তম্বুরা (প্রচলিত নাম তানপুরা। গায়ক ও বাদকের সংগীতচর্চায় ব্যবহার হয়), বেহালা, গোপীযন্ত্র (প্রচলিত নাম লাউয়া। বাউল, বৈরাগী ও ভিক্ষুক সম্প্রদায় বেশি ব্যবহার করেন), ব্যাঞ্জো, সারিন্দা (প্রাচীন ও দেশীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত হয়), আনন্দ লহরি (প্রচলিত নাম গুবগুবিখমক। বাউল ও ভিক্ষুক সম্প্রদায় বেশি ব্যবহার করে), সুরবাহার (উচ্চাঙ্গে অনুগামী যন্ত্র), ম্যান্ডেলিন (আরবি সুর ও সঙ্গীতে ব্যবহৃত হয়), তুবড়ি (প্রচলিত নাম বীণ। গ্রাম্য গান ও সাপুড়িয়াদের সাপখেলায় ব্যবহার হয়), বাঁশি, শঙ্খ (পূজা, মাঙ্গলিক, প্রাত্যহিক অনুষ্ঠান ও সংকেত জ্ঞাপনে ব্যবহার হয়), সানাই (উচ্চাঙ্গসঙ্গীত জলসায়, মাঙ্গলিক ও বিয়েতে ব্যবহার হয়), ক্ল্যারিওনেট (অর্কেস্ট্রা ও ব্যান্ডদলে ব্যবহার হয়), ট্রাম্পেট (অর্কেস্ট্রা ও ব্যান্ডদলে ব্যবহার হয়), হারমোনিয়াম (সবধরনের সঙ্গীতে ব্যবহার হয়), প্রেমজুড়ি (প্রচলিত নাম চটি। লোকজ ও ভক্তিমূলক সঙ্গীতে ব্যবহার হয়), নাকারা (রাজকীয় কাজ, খাজনা আদায় ও লাঠিখেলায় ব্যবহার হয়), ঢোলক (যাত্রা, থিয়েটার ও ঐকতানে ব্যবহার হয়), ডমরু (প্রচলিত নাম ডুগডুগি। ভালুক, বানর ও সাপখেলায় ব্যবহার হয়), খঞ্জরি (প্রচলিত নাম হাতবায়া। লোকজ ও ভক্তিমূলক সঙ্গীতে ব্যবহার হয়), মৃদঙ্গ (প্রচলিত নাম খোল। কীর্তনসঙ্গীতে ও মনিপুরী নৃত্যে ব্যবহার হয়), তবলা ও বায়া, ঢোল (কবি ও বাউল গানে ব্যবহার হয়), ঝাঁঝর (প্রচলিত নাম ঝাঁঝ। ঐকতান ও রণসঙ্গীতে ব্যবহার হয়), ঘণ্টা (দেবপূজায় ব্যবহার হয়), খঞ্জনি (প্রচলিত নাম মন্দিরা। মাঙ্গলিক ও রবীন্দ্রসঙ্গীতে ব্যবহার হয়), খরতাল (ঐকতান ও ভজনগীতে ব্যবহার হয়), ঘড়ি, কৃষ্ণকাঠি (প্রচলিত নাম চটি। লোকজ ও ভক্তিমূলক সঙ্গীতে ব্যবহার হয়), মেকুড় (প্রচলিত নাম মেহুর। জারিগান ও পালাগানে ব্যবহার হয়), নূপুর, সেকাস (পারকারসনে ব্যবহার হয়), পাখোয়াজ (লহর ও নৃত্যে একক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়) ও শারদসহ (উচ্চাঙ্গ ও একক যন্ত্র হিসেবে বেশি পরিচিত) ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও জলসাঘরের তৈজসপত্রও আসলামের সংগ্রহে আছে। এগুলো হলো- ফুলের সাজি, ফুলদানি, প্যাঁচানো ফুলদানি, পানি সাকি, সুরাপাত্র, ঘণ্টা, নর্তকী, হুঁকো, তামাপাত্র, পানিপাত্র, মোমদানি, দেয়াল নকশি, খানদানি হুঁকো, পিকদানি, ছাইদানি জুতা, ছাইদানি প্লেট ও দুধপাত্র।
‘সুরের ভালো লাগা যদি পেতে হয় তাহলে আমাদের দেশীয় যন্ত্রের বিকল্প নেই। বহু বাদ্যযন্ত্র নতুন প্রজন্মের চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। শুধু বাদ্যযন্ত্র নয়, পাশাপাশি সংগীত বিষয়ক অন্য যন্ত্রগুলোও এ জাদুঘরে সংগ্রহ করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্রের জাদুঘরটি আরও বৃহৎ আকারে করার ইচ্ছে আছে।’
সঙ্গীতভক্ত ও জনপ্রিয় উপস্থাপক সারওয়ার জাহান বলেন, আউল বাউল আর লালনের দেশে রক আর পপ সংগীতের আগ্রাসনে দেশীয় বাদ্যযন্ত্র নিভৃতে কাঁদে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাদ্যযন্ত্রেও পরিবর্তন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে ঐতিহ্যবাহী দেশি বাদ্যযন্ত্রকে দূরে ঠেলে দেওয়া যাবে না। দূরে ঠেলে দেওয়ার কারণে এগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়েছে, হচ্ছে। রেজাউল করিম আসলামের জাদুঘরে গেলে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানাতে পারবে।
স্থানীয় অনসাম্বল থিয়েটারের সভাপতি মো. আবুল মুনসুর বলেন, রবীন্দ্র, নজরুল ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতেই তবলা ব্যবহার হচ্ছে। এর বাইরে তেমন ব্যবহার করা হয় না। দেশি বাদ্যযন্ত্রগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে। এজন্য এগুলোর ব্যবহারও বাড়াতে হবে। তা না হলে ধীরে ধীরে দেশীয় সবগুলো বাদ্যযন্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ছায়ানট সাংস্কৃতিক সংস্থা ময়মনসিংহের সভাপতি মো. আপেল চৌধুরী বলেন, বাঁশের বাঁশি এখন খুব কম চলে। কারণ কিবোর্ডে বাঁশির বিকল্প কাজ চলে। বর্তমান সময়ের অনেক ছেলে-মেয়ে একতারাসহ দেশীয় অনেক বাদ্যযন্ত্রের নামই জানে না। দেশীয় অনেক বাদ্যযন্ত্রের কারিগরই নেই, অনেক বাদ্যযন্ত্র কেউ একেবারেই বানায় না। ধীরে ধীরে বিদেশি ও আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের প্রতি ছেলে-মেয়েদের আকর্ষণ বেড়েছে। ইতিহাস-ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মের কাছে দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের পরিচিতিসহ ব্যবহার বাড়াতে হবে। বাদ্যযন্ত্র সংগ্রাহক রেজাউল করিম আসলামের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
রেজাউল করিম আসলাম ময়মনসিংহ বাউল শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, প্রথমে দেখা, তারপর আগ্রহ আর ভালোবাসা। সেই থেকেই বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহের আসক্তি আজ অবধি চলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নষ্ট, ভাঙ্গা, পুরাতন সকল বাদ্যযন্ত্রসহ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ করেছি। বাদ্যযন্ত্র তৈরিকারক, বাদক, উপকরণ সবই হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো হারানোর বা নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিলুপ্ত, বিলুপ্তপ্রায় ও চলমান বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহের এই উদ্যোগ। কারও গবেষণায় বা কারও শেখার আগ্রহে কাজে লাগছে যন্ত্রগুলো। মানুষ জানতে পারছে ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
রেজাউল করিম আসলাম আরও বলেন, সুরের ভালো লাগা যদি পেতে হয় তাহলে আমাদের দেশীয় যন্ত্রের বিকল্প নেই। বহু বাদ্যযন্ত্র নতুন প্রজন্মের চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। শুধু বাদ্যযন্ত্র নয়, পাশাপাশি সংগীত বিষয়ক অন্য যন্ত্রগুলোও এ জাদুঘরে সংগ্রহ করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্রের জাদুঘরটি আরও বৃহৎ আকারে করার ইচ্ছে আছে।
ময়মনসিংহ জেলা কালচারাল অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাদুঘরটির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম পুরোনো বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে। অপরিচিত বাদ্যযন্ত্রের নাম জানতে পারছে। এজন্য রেজাউল করিম আসলাম প্রশংসা পাচ্ছে। আমাদের কাছে লিখিত আবেদন করলে জাদুঘরটি সম্প্রসারণ কিংবা পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এফএ/এএসএম