দেশজুড়ে

খুলনায় খুচরা বাজারে সবজির দাম দ্বিগুণ

খুলনায় খুচরা বাজারে সবজির দাম দ্বিগুণ

খুলনায় খুচরা বাজারে পাইকারি বাজারের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। টানা বৃষ্টির কারণে দাম বাড়ার পর বৃষ্টি কমায় পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করলেও খুচরা বাজারে কমেনি। অন্যদিকে মুরগির দাম কমলেও মাছের দাম বেড়েছে।

Advertisement

রোববার (২০ জুলাই) খুলনার বৃহৎ ট্রাকস্ট্যান্ড পাইকারি কাঁচাবাজার ও বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

পাইকারি বাজারে, পুঁইশাক ১৫ টাকা, বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, পটল ২০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, লাউ ১৫-২০ টাকা প্রতি পিস, লালশাকের কেজি ১০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ১৫০-১৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ১২-১৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা, কাঁচকলা ২০ টাকা হালি ও শসা ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, নতুন বাজার, মিস্ত্রি বাজার, গল্লামারি বাজারসহ বেশ কিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুঁইশাক ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা প্রতি পিস, লালশাকের কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২৪০-২৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা কেজি, আলু ২৫ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা হালি ও শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি ও খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে, কই মাছ ২০০-২৫০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২৪০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা এবং পাঙাস মাছ ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আজমল গাজী বলেন, বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ও সবজি সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়া সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টির কারণে গ্রাম এলাকা থেকে সবজি আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার সবজি আসা স্বাভাবিক হয়েছে।

মিস্ত্রিপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা শামসু মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারের থেকে কিছুটা দাম খুচরা বাজারে বেশি থাকবে। আমরা সামান্য লাভে সবজি বিক্রি করি। গত দু সপ্তাহ বাজারে সবজি ছিল না বললেই চলে। অনেকের সবজি ক্রেতা না থাকায় বিক্রি হয়নি। নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এবার দাম ফের কমতে শুরু করবে।

Advertisement

গল্লামারি বাজারের মাছ বিক্রেতা আজম হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক ঘের ডুবে গেছে। মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মোকামে মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য মাছের দাম কিছুটা বেশি। তাই ক্রেতারা মাছও কম কিনছেন।

নতুন বাজারে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, গত দুই সপ্তাহে মাছ ও সবজির দাম বেড়েছে কয়েক দফা। বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে শুধু দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ১০০ টাকায় দুই পদের সবজি কেনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ৩০০-৪০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই।

মিস্ত্রি বাজারে আসা ফারজানা খাতুন অন্তরা বলেন, টুকিটাকি বাজার এখান থেকে করা হয়। প্রায় দুই তিন সপ্তাহ ধরে শুধু শাকসবজির দাম বাড়ছে। মাছের দামও লাগাম ছাড়া। তবে মুরগির দাম অনেকটা কম। কোরবানির ঈদের পর মুরগির দাম কম রয়েছে।

আরিফুর রহমান/এমএন/এএসএম