যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আগের ম্যাচে এফসি সিনসিনাটির কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল ইন্টার মিয়ামি। এটি ছিল টানা ৫ জয়ের পর ফ্লোরিডাভিত্তিক ক্লাবটির প্রথম হার। তবে মিয়ামিকে যে হারের বৃত্তে আটকে রাখা অসম্ভব, সেটি পরের ম্যাচেই প্রমাণিত হলো।
Advertisement
এক ম্যাচ পরেই জয়ে ফিরলো মিয়ামি। এটি যেনতেন জয় নয়, নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানের বড় জয়ে ফের ছন্দে ফিরেছে লিওনেল মেসিদের ক্লাব।
এই ম্যাচেও জোড়া গোল করেছেন মেসি। সঙ্গে দুটি অ্যাসিস্টও আছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। এ নিয়ে সর্বশেষ ৭ ম্যাচের ৬টিতেই একাধিক গোল করলেন আটবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী তারকা।
অন্যদিকে নিউ ইয়র্ক ঘরের মাঠে টানা জয়ের সুযোগ হারালো এবং চলতি মৌসুমেই দ্বিতীয়বার মিয়ামির কাছে হেরে বসলো।
Advertisement
এদিন ম্যাচের শুরুতেই মিয়ামির সমর্থকদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল নিউ ইয়র্ক। ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোল করে লিড নিয়েছিল তারা। তখন মিয়ামির সমর্থকরা ভেবেছিলেন, হয়তো কোনো অঘটন ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসির নেতৃত্বে সকল ভয় ও অনিশ্চয়তাকে তাড়িয়ে দিয়ে বড় জয়ই তুলে নিয়েছে মিয়ামি।
২৪ মিনিটে মেসির একটি দুর্দান্ত ক্রস থেকে গোল করে মিয়ামিকে সমতায় ফেরান জর্দি আলবা। এটি স্প্যানিশ তারকার মৌসুমের প্রথম গোল।
২৭ মিনিটে মিয়ামি ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। লুইস সুয়ারেজ বল বাড়ান মেসির দিকে। মেসি তা দ্রুত পাঠিয়ে দেন আলবার দিকে, আর আলবা সেটি পাস দেন সেগোভিয়াকে, যিনি সহজেই বল জালে পাঠান।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে নিউ ইয়র্কের বক্সে বল নিয়ে ঢোকেন রেডন্ডো, কিন্তু শট নিতে পারেননি। তবে সেগোভিয়া দ্রুত বল দখল করে রিবাউন্ড থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন, যা ছিল দলের তৃতীয় গোল।
Advertisement
এরপর ৬০ ও ৭৫ মিনিটে দুটি গোল করেন মেসি এবং বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেন।
এই দুই গোলের মাধ্যমে এমএলএসে মেসির গোলসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮টিতে। আর মোট ২৭টি গোলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত হন ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা।
নিউ ইয়র্ক পুরো ম্যাচে মোট ৯টি শট নিলেও অন টার্গেট শট ছিল মাত্র ১টি। বিপরীতে মিয়ামি অন টার্গেট শট নিয়েছে ৮টি।
এমএইচ/