আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত আরও ৫১

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত আরও ৫১

গাজাজুড়ে শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে নতুন করে আরও কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিল। এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে। সেখানে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছে। খবর আল জাজিরার। হামাস জানিয়েছে, গাজায় আটক থাকা বাকি সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে যদি কোনো চুক্তি না হয় তবে তারা দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।

Advertisement

এদিকে হিজবুল্লাহ নেতা নাইম কাসেম যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বজায় রাখতে তাদের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয় এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে হিজবুল্লাহর অস্ত্র অপরিহার্য।

এক ভিডিও বার্তায় কাসেম বলেন, আমরা আত্মসমর্পণ করবো না এবং ইসরায়েল আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে পারবে না। অস্ত্র ছাড়া প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন বিশেষ দূত থমাস ব্যারাক (যিনি বর্তমানে তুরস্কে রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক দূত হিসেবে কাজ করছেন) গত মাসে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব দেন। যার মধ্যে হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ অন্যতম।

Advertisement

লেবাননের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্র ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবাননকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু এখন সেই অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।

আরও পড়ুন: ইসরায়েল কেন দ্রুজদের রক্ষার নামে সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে? ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড, ঠেকানোর সব আশাই কি শেষ? যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫৮ হাজার ৬৬৭ জন নিহত এবং আরও ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন আহত হয়েছে।

টিটিএন

Advertisement